ফের স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ামুখী পূর্ব উপকূলের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে কিম-বাহিনী। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্ত বরাবর যুদ্ধবিমান উড়িয়ে নিয়ে যায় তারা।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়াকে ভয় দেখাতে বেশ কয়েকটি অস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। যা নিয়ে গোটা বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করে। উত্তর কোরিয়া জানিয়ে দিয়েছে তারা মাঝারি মানের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাও চালাতে পারে। যা নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক আরও তিক্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: US Shooting: নাবালকের গুলিতে হত ৫ আমেরিকায়, মৃত্যু পুলিশ কর্মীরও
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল বরাবর প্রায় ১৭০টি বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। যেগুলি গিয়ে পড়েছে দুই দেশের মধ্যবর্তী জলসীমায়। ২০১৮ সালে শান্তি বজায় রাখতে এই অঞ্চলকে কারও এলাকা নয়, এই হিসেবে চুক্তি করা হয়েছিল। উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে যে, আমেরিকা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা তাদের পরমাণু শক্তিধর বলে মেনে নিক। এবং তাদের উপর থেকে অবরোধ তুলে নিক।
দক্ষিণ কোরিয়ার তিন বাহিনীর যুগ্ম প্রধান জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ হলেও তার একটিও জলসীমা লঙ্ঘন করেনি। তবে, ২০১৮-র চুক্তিভঙ্গ করেছে এই কাজ। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা (KCNA) জানিয়েছে, এই সেনা মহড়ার কারণ খোদ আমেরিকা। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ার অজুহাতে আমেরিকা পূর্ব উপকূলে পরমাণু শক্তিচালিত যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগনকে (USS Ronald Reagan) দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
এদিনের ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের পর পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া উত্তরের উপর সর্বাত্মক অবরোধ জারি করেছে। যার ফলে উত্তর কোরিয়ার ১৫ জন ব্যক্তি ও ১৬টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সিওল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট য়ুন সুক-ইওল সাংবাদিকদের বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ক্রমাগত যুদ্ধের জন্য প্রভাবিত করে চলেছে।