নয়াদিল্লি: উত্তর ভারত জুড়ে প্রবল বৃষ্টিতে প্রায় শ’খানেকের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশেই মারা গিয়েছেন ৮০-বেশি। বহু সড়ক, সেতু, ঘরবাড়িসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। হিমাচল প্রদেশে বিদেশিসহ প্রায় ৩০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন। পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উত্তরাখণ্ডে ৯ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মথুরা ও দিল্লিতে যমুনা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ১০ বছর পর যমুনা ২০৭.৪৯ মিটার উচ্চতা ছুঁয়েছে। পুরনো দিল্লির রেল স্টেশন সংলগ্ন যমুনা নদীর সেতুর ঠিক তলা দিয়ে বইছে জল।
দিল্লির যমুনা সংলগ্ন মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে রওনা দিয়েছেন। কারণ যে কোনও মুহূর্তে নদী ভাসিয়ে দিতে তীরবর্তী এলাকা। সকালে কাশ্মীরি গেট এলাকা বাজারে জল ঢুকে পড়ে। উত্তরাখণ্ডের চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার নৈনিতাল, চম্পাওয়াত. উধম সিং নগর এবং পাউরি গাড়োয়ালে লাল সতর্কতা জারি এবং হরিদ্বার, দেরাদুন, তেহরি গাড়োয়াল এবং উত্তর কাশীতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
হিমাচল প্রদেশের কুলুর এএসপি আশিস শর্মা জানিয়েছেন, গত দুদিন বহু জায়গায় মোবাইল সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সে কারণে পর্যটকদের অবস্থান এবং অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না।