কলকাতা: গত সাতদিন ধরে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন (Nomination) পেশকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছে। হিংসায় খুনোখুনি পর্যন্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষের দিনেই ভাঙড়ে এক আইএসএফ কর্মী এবং এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশের এসকর্ট নিয়ে বিডিয়ো অফিসে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন আইএসএফ প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যেই একজন গুলিতে মারা যান। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার ভাঙড়ে এবং বসিরহাটে বিরোধীদের মনোনয়ন চলে।
মনোনয়ন পেশ নিয়ে যখন এত কাণ্ড, ঠিক তখনই কাকদ্বীপে তৃণমূলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন রাজ্যে আগে কখনও হয়নি। তাঁর আরও দাবি, অন্য কোনও রাজ্যেও এত শান্তিতে মনোনয়ন পেশ হয় না।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Adhir Chowdhury | মনোনয়ন প্রত্যাহারে পুলিশ ধমকাচ্ছে, মন্তব্য অধীরের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা দুটো বুথে গোলমাল হয়েছে। তাই নিয়ে এত কথা। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আর কোনও রাজ্যে বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোটে এত মনোনয়ন দিতে পারে না। এখানে বিরোধীরা দেড় লক্ষ মনোনয়ন দিয়েছে। আর আমরা ৮২ হাজার মনোনয়ন দিয়েছি। তিনি বলেন, বিরোধীরা খালি বলছে, তৃণমূল দে চিমটি দিচ্ছে, তৃণমূল শ্যাম চিমটি দিচ্ছে। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে সারা রাজ্যে। ওদের খাইয়ে দিতে হবে নাকি। ভাত দিয়েছি বলে খাইয়ে দিতে হবে, ভাতে্র সঙ্গে মাংস দিতে হবে, ইলিশ মাছের ঝোল দিতে হবে। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষ শান্তিতে আছে। এখন বিরোধীরা বলছে, শান্তি নেই। সিপিএম আমলে কোন শান্তিটা ছিল।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেন, মনোনয়ন হয়েছে শান্তিতে। বিপুল সংখ্যায় বিরোধীরা মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন।
বিরোধীরা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি শুনে ব্যঙ্গের হাসি হাসছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন, তাতে তো ঘোড়াও হাসবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চোধুরীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মনোনয়ন পর্ব কেমন হয়েছে, সেটা আদালতের নির্দেশেই বোঝা গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মিথ্যে কথা বলা মুখ্যমন্ত্রীর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।