কলকাতা: ফের কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত নন্দীগ্রামের দুই ব্লকের বিজেপি প্রার্থী সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলাকরীদের অভিযোগ, নির্বাচনের মুখে পুরোনো মামলা তুলে এনে তাঁদের হেনস্তা করা হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
আবেদনকারীরা পুরনো ও নতুন মিলিয়ে প্রায় ১৬ টি মামলার তালিকা আদালতের কাছে তুলে দেন। মামলাকরীদের দাবি এই সমস্ত মামলার উপর ভরসা করেই তাঁদের ফাঁসানো হতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে। এই ঘটনার জেরেই হাইকোর্টে একটি মামলা করে বিজেপি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুনানিতে বলেন, নন্দীগ্রামের দুই ব্লকের বিজেপি প্রার্থী, বুথ এজেন্ট এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও করা পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকতে বলে জানাল উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | তৃণমূলকে না জেতালে কোনও উন্নয়ন হবে না, হঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই রাজ্যের জেলায় জেলায় হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে স্বাভাবিকভাবেই ভোট নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশের প্রথম দিন থেকেই গন্ডগোলের ছবি ধড়া পড়ছে একাধিক এলাকায়। সেই অশান্তি এখনও অব্যাহত।
এদিকে এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়ায়। বুধবার সকালে হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর গ্রামে এক এমএসকে কেন্দ্রের শিক্ষক নীলকন্ঠ দুবের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নীলকন্ঠর নিজের বাড়ি থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে একাই থাকতেন নীলকন্ঠ । এদিন সকালে বাড়িতে ডাকাডাকি করে না সাড়া পাওয়ায় সুজিত বাগচী নামে এক যুবক বাইরের গেটের চাবি খুলে ঘরে ঢুকে দেখেন নীলকন্ঠ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার চেঁচামেচি শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন।
সুজিত বলেন, নীলকন্ঠবাবুকে তিনি দেখাশোনা করতেন। তাঁর স্নায়ু রোগ ছিল। হয়তো সে কারণেই তিনি মারা গেছেন। এদিকে ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী রঙ্গলাল ঘোষের দাবি, নীলকন্ঠ দুবে সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যেয় নীলকন্ঠ তাঁর সঙ্গে ভোট প্রচার করেছিলেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ নীলকণ্ঠকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি। নীলকণ্ঠের স্নায়ু রোগ থাকলেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে দাবি করেন ওই বিজেপি প্রার্থী। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে বহরমপুর মর্গে পাঠাচ্ছে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।