গোধরায় (Godhra Incident) সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আসামীদের মুক্তির বিষয়ে কোনওরকম নমনীয়তা দেখাবে না গুজরাত সরকার (Gujarat Government)। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট প্রশাসনের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সাজাপ্রাপ্তদের অনেকেই সতেরো-আঠারো বছর জেলে আছেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। যে অবস্থার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI Chandrachud) নেতৃত্বধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ দোষী সাব্যস্তদের মুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলে। দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যাঁরা ট্রেনে পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত, তাঁদেরও অনেকে প্রায় দুই দশক জেল খেটে ফেলেছেন।
কিন্তু সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, বিষয়টিকে শুধু পাথর ছো়ড়ায় মধ্যে ফেললে ভুল করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর যু্ক্তি, ট্রেনের জ্বলন্ত কামরা থেকে যাত্রীরা যাতে বেরোতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই পাথর ছোড়া (Stone Pelting) হয়েছিল। অবশ্য সাজাপ্রাপ্তদের অপরাধের বিষয় খতিয়ে দেখে তাদের মুক্তির বিষয়টি আলাদা ভাবে বিচার বিবেচনা করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুজরাতের গোধরা স্টেশনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সবরমতী এক্সপ্রেসের (Savarmati Express) এস ৬ কামরাকে। এই ঘটনায় নিহত হন ৫৯ জন, যাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই করসেবক এবং উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা থেকে তাঁরা ফিরছিলেন। এই ঘটনার পরই দাঙ্গা শুরু হয় গুজরাত জুড়ে, যা গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গা নামে পরিচিত।
২০১৭ সালে গুজরাত হাইকোর্টে এই ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের ফাঁসির সাজা রদ করে, ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment)দেওয়া হয়। মুক্তি দেওয়া হয় কমবেশি ষাট জনকে। কিন্তু হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আপিল করে গুজরাত সরকার।