নয়াদিল্লি: শেষ মুহূর্তে রণনীতি বদল। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ছক্কা হাঁকানোর’ হুমকিকে তুড়ি মেরে রাজনীতির পিচে ‘দুসরা’ ছাড়ল কংগ্রেস। বহুদিন পর যেন ‘ক্যাপ্টেন’কে মাঠে ফিরে পেয়ে চনমনে হয়ে উঠেছে দেশের প্রাচীনতম দল, মায় গোটা ইন্ডিয়া জোট। লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের শুরুতেই সরকারপক্ষের পিলে চমকে দিয়ে রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে দলীয় এমপি গৌরব গগৈ আলোচনায় অংশ নেন। তা নিয়েও হইচই শুরু করে দেন বিজেপির সদস্যরা। গতকাল থেকেই গুঞ্জন চলছিল অনাস্থা আলোচনার শুরুই করবেন সদ্য পদ ফিরে পাওয়া রাহুল। সেই মতো রাহুলের ঢাল হিসেবে বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং একদা গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বক্তার তালিকায় রেখেছে।
কিন্তু, এদিন আচমকাই রাহুলের বদলি হিসেবে গগৈ ভাষণ দিতে ওঠেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রথমদিনই প্রথম আলোচনায় রাহুলকে ময়দানে নামালে হট্টগোল করে পুরো ব্যাপারটা ভেস্তে দিতে পারে বিজেপি। তাই সরকারপক্ষের তাবড় নেতাদের বক্তব্যের শেষে গুগলি ছাড়তে মাঠে নামতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সে কারণে মোদির ছক্কা মারার কটাক্ষের একটু রয়েসয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন সোনিয়া-পুত্র।
আরও পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কার্বন কপি এবার দিঘায়
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের আগেই এদিন সকালে বিজেপি সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হয়। সেখানে মোদি উপস্থিত সাংসদদের বলেন, আমরা শেষ বলে ছক্কা মারব। তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মোদি আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোট যে অনাস্থা এনেছে, সেটা ওদের একটা কর্মসূচি। কিন্তু, এটাই আমাদের কাছে একটা সুযোগ, আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত ও পরিবারবাদী রাজনীতি থেকে মুক্ত করার যে স্লোগান এনডিএ নিয়েছে, তা থেকে আমরা সরব না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধীদের জোট হল পারস্পরিক অবিশ্বাসে জর্জরিত।
ইন্ডিয়া জোটকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে মোদি আরও বলেন, এনডিএ-র শক্তি কতটা তা গতকালই রাজ্যসভায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিল পাশকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলেও মন্তব্য করেন মোদি।