পাটনা: বিহারে ক্ষমতা বদল হয়েছে। এর সঙ্গেই রাজনৈতিক বন্ধু-শত্রুর মুখও বদলে গিয়েছে। কালও যারা একঘরে রাত্রিবাস করত, আজ তাদের মধ্যেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ। পরস্পরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িরও বিরাম নেই। যেমন বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার খোলামেলা আক্রমণ করলেন ইন্ডিয়া জোট, রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবকে।
তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ডিয়া জোটের নাম নিয়েও আপত্তি ছিল নীতীশের। তিনি কংগ্রেস এবং অন্য দলগুলিকে বলেছিলেন, বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স বা ইন্ডিয়া না রাখতে। দেড় বছরের শত্রুপক্ষ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর সঙ্গে হাত মেলানোর সাফাই দিয়ে নীতীশ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের দ্রুত আসন সমঝোতা নিয়ে কারও আগ্রহ ছিল না।
আরও পড়ুন: ভোটের লঙ্কায় মধ্যবিত্তের গলায় খয়রাতির মঙ্গলসূত্র পরাতে পারেন মোদি
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলছিলেন সংযুক্ত জনতা দলের প্রধান নীতীশ। তিনি আরও বলেন, আমি বহুবার আর্জি জানিয়েছি জোটের নাম পরিবর্তন করুন। অন্য নাম বাছুন। কিন্তু, ওরা এটাই ঠিক করে। আমি অনেক চেষ্টা করেও বদলাতে পারিনি। ওরা কিছুই করেনি। আজ পর্যন্ত এই জোট ঠিক করতে পারেনি, কোথায়, কত আসনে কে লড়াই করবে। এ কারণেই আমি ওদের সঙ্গত্যাগ করেছি, বলেন নীতীশ কুমার।
বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুলের ঠেস মারা মন্তব্য সম্পর্কে নীতীশের জবাব, বিহারের জনগণনা নিয়ে রাহুল ভুয়ো কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে আর আমি কি করতে পারি, ওনাকে করতে দিন।
লালু-রাজের দিনগুলির কথা উসকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ আরও বলেন, ২০০৫ সালে কী হয়েছিল, আপনারা ভুলে গিয়েছেন? এরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন কী চলেছে রাজ্যে! সন্ধ্যা হলে কেউ বাইরে বেরতে পারত? তেজস্বী যাদবকে উদ্দেশ করে নীতীশ আক্রমণ করে বলেন, আপনি তো তখন বাচ্চা ছিলেন। কী জানেন আপনি? সেই বাচ্চা এখন বড় হয়ে গিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন