ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রামের এক স্কুল ছাত্র তৈরি করছে দুর্গা প্রতিমা। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের নাম অনুভব পাল। ঝাড়গ্রাম শহরের ৪টি পুজো কমিটির দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছে সে। শুধু দুর্গা প্রতিমা নয়, গণেশ পুজো , লক্ষ্মী পুজো ও বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ও প্রতিমা গড়ার ডাক পায় অনুভব।
ঝাড়গ্রাম শহরের বানীতীর্থ হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অনুভব পাল। বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের বামদা এলাকায়। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল। অনলাইনে চলছে পড়াশোনা। পড়াশোনার পাশাপাশি এবার নিজের হাতে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছে অনুভব। এরই মধ্যে সে ঝাড়গ্রাম শহরের ৪টি পুজো কমিটির দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে ফেলেছে। ঠাকুরের মূর্তি গড়া কিংবা মাটির কাজের কোনো প্রশিক্ষণ পায়নি সে। ছোট থেকেই মাটি নিয়ে ঘাটতে ঘাটতেই প্রতিমা তৈরি করতে শিখে ফেলে অনুভব। সে জানায়, এই প্রতিমা তৈরি করছে আয় করার জন্য নয়, এটা তার সখের কাজ। “মাটি না ঘাটলে ভালো লাগে না। স্কুল বন্ধ, তাই অনলাইন ক্লাসের সময় ক্লাস করছি। অন্য সময় ঠাকুর তৈরি করছি”, জানায় অনুভব। পড়াশোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মূর্তি গড়ার কাজও করছে সে।
আরও পড়ুন : পাওয়া যাচ্ছে না মাটি, মিলছে না বায়না, মাথায় হাত প্রতিমা শিল্পীদের
করোনার জন্য পুজোর বাজেট কমেছে। সেই সঙ্গে প্রতিমার উচ্চতাও কমেছে। কম দামে ঠাকুর বানাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। অনুভবের বাবা মিঠুন পাল জানান, বংশ পরম্পরায় মাটির কাজ করে আসছেন তাঁরা। তাঁর ছেলে অনুভবও সাড়ে পাঁচ বছর বয়স থেকেই মাটি দিয়ে পুতুল তৈরি করত। তিনি ছেলের বিষয়ে আরও জানান যে, “মাটির কাজকে ভালবাসে অনুভব। আমাদের দেশের বাড়ি বা ওর মামার বাড়িতে মাটির কাজ হয়। কিন্তু আমাদের কেউ কখনও প্রতিমা তৈরি করেনি, বংশের মধ্যে অনুভবই প্রথম এই কাজ করছে।”