জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিরুদ্ধে ফের দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান (Raid) চালাচ্ছে এনআইএ (NIA) সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। সোমবার রাতে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একযোগে ৮টি রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সপ্তাহেও একইভাবে এনআইএ-ইডির (ED) যৌথ তল্লাশিতে সংগঠনের ১০৬ জন নেতা-সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গন্ডগোল এড়াতে রাজধানী দিল্লির (New Delhi) জামিয়া নগরে (Jamia nagar) ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia University ) তরফেও পড়ুয়াদের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তারা যেন দল বেঁধে ঘোরাঘুরি না করে। যদিও দিল্লি পুলিশ একথা অস্বীকার করে বলেছে, ১০ দিন আগেই এটা হয়েছে, তল্লাশির জন্য নয়। অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মঙ্গলবার বলেন, ২৪ জন পিএফআই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও তীব্রতর করা হবে। মহারাষ্ট্র পুলিশ এদিন সকালে কল্যাণ থেকে সংগঠনের সক্রিয় এক সদস্য ফারদিন পরিকরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: Tripura Teachers beaten: চাকরির দাবিতে পথে নামা শিক্ষকদের পেটাল ত্রিপুরা পুলিশ, নিন্দায় তৃণমূল
একদিকে যখন পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চলছে, তখনই দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। সেই বৈঠকে এনআইএর ডিজি, ইডির ডিজি এবং আইবি প্রধান। এদিন কর্নাটক, গুজরাত, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, অসম, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে তল্লাশি চলছে। দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৯০ জনকে গ্রেফতার অথবা আটক করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেন নিজামুদ্দিন এবং শাহিনবাগ এলাকায় তল্লাশি চালায়।
অসমের কামরূপ গ্রামীণ, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, বরপেটা, করিমগঞ্জে তল্লাশি চলছে। মহারাষ্ট্রের নাসিকে পিএফআই এবং তাদের রাজনৈতিক শাখা সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (SDPI) কয়েকজনকে আটক ও গ্রেফতার করেছে। কেরালার কোট্টায়াম ও কোল্লাম থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বেশ কয়েকজন গত ২৩ সেপ্টেম্বরের কেরালা হরতালে ব্যাপক হাঙ্গামা বাধিয়েছিল বলে অভিযোগ।