দেশের সব রাজ্যে গড়ে তোলা হবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) শাখা। ২০২৪ সালের মধ্যে সব রাজ্যে এনআইএ-র শাখা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union home minister Amit Shah)। সন্ত্রাসবাদ (terrorism) দমনে এনআইএ-র এই বিস্তৃতির কথা জানিয়ে শাহ আরও বলেন যে, রাজ্যগুলিকে সীমান্তে অপরাধ দমনে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস রুখতে এবং সংগঠিত অপরাধ ঠেকাতে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
হরিয়ানার (Haryana) সুরজকুণ্ডে (Surajkund) রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে প্রথম অনুষ্ঠিত চিন্তন শিবিরে ( Chintan Shivir) দেশের অভ্যন্তরীণ ও সীমান্তপারের নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে যৌথ কৌশল রূপায়ণের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জয় পেতে হলে আইনি কাঠামোকে অত্যন্ত শক্তিশালী করতে হবে। এর জন্য এনআইএ এবং ইউএপিএ-র আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন শাহ।
আরও পড়ুন: Amit Malviya অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে খবর, দ্য ওয়্যারের নামে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার হুমকি
এ কারণে এনআইএ-র আইনি পরিধি বাড়ানোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। বলেন, জঙ্গিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার দেওয়া হয়েছ তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপর আমরা ঠিক করেছি, সব রাজ্যেই এনআইএ-শাখা গড়ে তোলা হবে। এবং তা ২০২৪ সালের মধ্যেই। বর্তমানে দিল্লি, হায়দরাবাদ, গুয়াহাটি, কোচি, লখনউ, মুম্বই, কলকাতা, রায়পুর, জম্মু, চণ্ডীগড়, রাঁচি, চেন্নাই, ইম্ফল, বেঙ্গালুরু ও পাটনাসহ মোট ১৫টি শাখা রয়েছে এই সংস্থার। প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার পর এই তদন্তকারী সংস্থা গড়ে তোলা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এনআইএ ৪৬৮টি মামলা করেছে। দোষী সাব্যস্ত করার হার ৯৩.২৫ শতাংশ।
শাহ চিন্তন শিবিরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার নীতি নিয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, দেশের মূল জঙ্গিঘাঁটিগুলি কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার ফলে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অমিত শাহর কথায়, আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের অন্তর্গত বিষয়। কিন্তু, বর্তমান প্রযুক্তি ও কৌশলগত কারণে তা এখন আর কোনও সীমায় আবদ্ধ নেই। তাই সাইবার অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার ও আর্থিক অপরাধ ঠেকাতে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ কৌশল নিতে হবে।