নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jawaharlal Nehru University) পড়ুয়াদের আন্দোলনে রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ করল কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ধরনা দিলেই হতে পারে ২০,০০০ টাকা জরিমানা (Penalty)। এছাড়া পড়ুয়াদের ভর্তি বাতিল কিংবা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হতে পারে। সম্প্রতি জেএনইউ (JNU) কর্তৃপক্ষ ১০ পাতার একটি নিয়মাবলী (Rules) প্রকাশ করেছে। তাতেই পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন ধরণের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই শাস্তির বিষয়টি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। জেএনইউ তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে বিবিসির (BBC) তথ্যচিত্র সম্প্রচার করা নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ১০ পাতার কঠোর নিয়মাবলী চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেএন ইউ কর্মসমিতি তা অনুমোদনও করেছে।
এই কড়া শাস্তির বিধানের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থির পরিষদ এই নয়া বিধানকে তুঘলকি বলে বর্ণনা করেছেন। সংগঠনের জেএনইউ ইউনিটের সম্পাদক বিকাশ প্যাটেল বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো যে নিয়মবিধি রয়েছে তাই ছাত্র আন্দোলন ঠেকতে যথেষ্ট। তার জন্য নতুন নিয়মবিধি চালু করার কোনও দরকার নেই। তিনি এই ‘কালা’ আচরণবিধি প্রত্তাহাওরেরও দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: লাঞ্চে ৭৫ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ম্যাচের ভাগ্য ভারতীয় ব্যাটারদের হাতে
জেএনইউ বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনও এর প্রতিবাদ করেছে। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ বলেন, এই ‘কালা’ বিধি আমরা মানি না। তা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা শীঘ্রই আন্দোলনে নামব। জেএন ইউ বরাবরই ছাত্র আন্দোলনের জন্য বিখ্যাত। নানা মতের নান পথের ছাত্র সংগঠন জেএনইউর ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জেএনইউর গৈরিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপি এই কাজে এবিভিপিকেও সামনে এগিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন আন্দোলন ঘিরে এবিভিপি এবং বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যে দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বামপন্থীদের আরও অভিযোগ, বিজেপি সরকার ববেছে বেছে গেরুয়াপন্থী শিক্ষাবিদদেরই জেএনইউর উপাচার্যের পদে বসাচ্ছেন। বর্তমান উপাচার্য শান্তিশ্রী ডি পণ্ডিতও বিজেপিপন্থী বলেই শিক্ষা মহলে পরিচিত। এই নয়া বিধি সম্পর্কে সংবাদ সংস্থা পিটিআই উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটস্যাপ মেসেজেরও কোনও জবাব দেননি।