কোহিমা: নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Nagaland) হিসেবে শপথ (Oath) নিলেন রাজ্যের অবিসংবাদিত নেতা নেইফিউ রিও (Neiphiu Rio)। উত্তর-পূর্বের পার্বত্য রাজ্যে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ নেতা এসসি জামিরের রেকর্ড ভেঙে দিলেন রিও। রিওর দল এনডিপিপি (NDPP) এবং বিজেপি (BJP) বিধানসভা ভোটে ৬০টি আসনের মধ্যে ৩৩টিতে জয় হাসিল করেছে। মেঘালয়ের মতো নাগাল্যান্ডেও শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মঙ্গলবার কোহিমার কালচারাল হলে শপথ অনুষ্ঠান হয়।
বিজেপি নাগাল্যান্ডে জোট সরকারে থাকলেও এবার তাদের মন্ত্রী কমেছে। গত মন্ত্রিসভায় বিজেপির ৬ জন মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু, এবার তাদের ৫ জনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তবে গতবারের মতো বিজেপি নেতা ওয়াই পাট্টন উপমুখ্যমন্ত্রীই থাকছেন। একইভাবে গতবারের মতো নাগা রাজ্যের সব দলই রিওর প্রতি সমর্থন জানানোয় বিরোধী শূন্য বিধানসভা এবারেও পেতে চলেছে নাগাল্যান্ড।
এর আগে মেঘালয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কনরাড সাংমা (Meghalaya CM Conrad Sangma)। শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, আগামী দুদিনের মধ্যে দফতর বণ্টন করা হবে। সাংবাদিকদের সামনে সাংমা বলেন, রাজ্যের উন্নয়নে যে ভিত গত ৫ বছরে পোঁতা হয়েছে, তা শেষ করার কাজ করব। যুবক ও কর্মক্ষেত্রে আমরা বিপুল জোর দিয়েছি। আরও উন্নয়নের জন্য আমাদের সরকার কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, শপথের জন্য প্রধানমন্ত্রী এদিন আগেই মেঘালয়ে এসে পৌঁছে যান। দুদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে গুয়াহাটি থেকে শিলং হয়ে এখানে আসেন মোদি। এ নিয়ে পরপর পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন রিও। রিওর ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি এবং জোটসঙ্গী বিজেপি মিলে ৩৭টি আসনে জয় পেয়েছে। নাগাল্যান্ডেও বিধানসভার মোট আসন ৬০। তাই এখানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে জোটের।
নাগাল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলে যাবেন আগরতলায়। ত্রিপুরায় আগামিকাল শপথ। সেই অনুষ্ঠানেও হাজির থাকবেন মোদি। সোমবারই বিজেপি ত্রিপুরায় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে এসেছে। মানিক সাহা ফের বিজেপির দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি।
আগরতলায় শপথ অনুষ্ঠানের শেষেই মোদি ফের চলে আসবেন গুয়াহাটিতে। সেখানে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে এক বৈঠক করবেন। অসমের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। শেষে নয়াদিল্লি ফিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।