কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হল নিট (NEET) পরীক্ষার্থিনীদের। কেরালার কোল্লাম জেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের এই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় মেটাল ডিটেক্টরে ওই ছাত্রীর অন্তর্বাসে ধাতব হুক থাকায় তা বেজে ওঠে। তখন কর্তব্যরত মহিলা নিরাপত্তারক্ষী পরীক্ষার্থিনীকে তাঁর অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করেন। শুধু তাঁকে একাই নয়, একইভাবে আরও ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে ঢুকতে বাধ্য করা হয়। অভিযোগ, সেগুলি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি ঘরে রেখে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Rupee Against Dollar: ফের পতন, ইতিহাসে প্রথম ৮০ টাকা ছুঁল ডলারের দাম
গত রবিবার নিটের মেডিক্যাল বিভাগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। অন্যদের মতো ওই ছাত্রীও সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছন। নিরাপত্তারক্ষীরা সকলকে মেটাল ডিটেক্টরে পরীক্ষা করে ভিতরে ঢোকাচ্ছিলেন। তখনই ওই ছাত্রীর অন্তর্বাসে থাকা ধাতব হুকের কারণে ডিটেক্টরে তা ধরা পড়ে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ, তখন তাঁর মেয়েকে এক মহিলা নিরাপত্তাকর্মী অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করেন। শুধু তাই নয়, তা না-করলে তাঁকে পরীক্ষা হলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বাবার লিখিত অভিযোগের পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপরেই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, অন্তর্বাস খুলতে আপত্তি জানানোয় তাঁর মেয়েকে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ওই মহিলা নিরাপত্তাকর্মী ছাত্রীকে বলেন যে, তোমার কাছে ভবিষ্যৎ গুরুত্বপূর্ণ, নাকি অন্তর্বাস? এখনই ওটা খোলো, ফালতু সময় নষ্ট করো না। যদিও কোল্লামের ওই পরীক্ষাকেন্দ্র মার্থোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির কর্তৃপক্ষ এর দায় অস্বীকার করেছে। কোল্লামের পুলিস প্রধান কে বি রবি অবশ্য লিখিত অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করেছেন। মেয়েটির বাবার অভিযোগ, প্রায় ৯০ শতাংশ ছাত্রীর কপালেই জুটেছে এই ফরমান। পরীক্ষার ঠিক আগের মুহূর্তে মেয়েদের এই সম্মানে তাঁদের উপর কতখানি মানসিক চাপ পড়তে পারে বলে কৈফিয়ত তলব করেছেন অভিযোগকারী বাবা।
তাঁর আরও অভিযোগ, যে ঘরে অন্তর্বাস খুলে রাখতে বলা হয়েছিল, সেই ঘরে ঢুকে তাঁর মেয়ে দেখে সেখানে বহু অন্তর্বাস পড়ে রয়েছে। আর প্রায় সব পরীক্ষার্থিনীই কান্নাকাটি করছে। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, অনেক মেয়ে তো সেখানেই ধাতব হুক কেটে ফেলার চেষ্টাও করেছে। সব মিলিয়ে প্রত্যেককেই এক মানসিক উদ্বেগ ও চাপের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।