বেজিং: চীনে কোভিড সুনামি। প্রায় ২৫ কোটি মানুষ ওমিক্রনের নয়া রূপ বিএফ.৭-এ আক্রান্ত। এর মধ্যেই চীন রবিবার থেকে কোভিড সংক্রান্ত দৈনিক তথ্য পরিবেশন বন্ধ করে দিল। স্পষ্ট করে জানা না গেলেও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যেই প্রায় ২৫ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের রেডিও ফ্রি এশিয়া নামে একটি সংবাদ মাধ্যম সরকারি তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, ডিসেম্বরের ১-২০ তারিখের ভিতর ২৫ কোটির কাছাকাছি চীনা বাসিন্দা কোভিড আক্রান্ত।
এই অবস্থায় চীনে আগামী বছর ১০ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে চীনে। গড়পরতা প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থা এয়ারফিনিটির তথ্য অনুযায়ী এ খবর জানা গিয়েছে। এর মধ্যেই চীনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর দৈনিক কোভিড আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানাবে না। ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একাংশে মত, চীনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অন্তত ১০ কোটি ছোঁবে এবং নিদেনপক্ষে ১০ লক্ষের মৃত্যু হবে। অঙ্কের নিরিখে এই পরিসংখ্যানই মিলছে বলে জানান দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিনের ডাক্তার নীরজকুমার গুপ্তা।
আরও পড়ুন: Bird Flu: কোভিডের আশঙ্কার মাঝে বার্ড ফ্লু, ৬ হাজারেরও বেশি পাখি নিধন কেরলে
এদিকে, ভারতে কোভিড সংক্রমণের জন্য জানুয়ারির প্রথম ১৫ দিন খুবই বিপজ্জনক। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (AIIMS) প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, লোকজন এখনও যেহেতু বিদেশ থেকে যাতায়াত করছেন, তাই জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকটা খুবই বিপজ্জনক। যদিও তিনিই মনে করেন, এর জন্য আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ কিংবা লকডাউন করার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। তবে কঠোর নজরদারি, বিধিনিষেধ মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
চীনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগামী মঙ্গলবারই কোভিড মোকাবিলায় দেশজুড়ে স্বাস্থ্য মহড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা, করোনাযোদ্ধা, অ্যাম্বুল্যান্স-শবদেহবাহী গাড়ি, ওষুধপত্র, অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে মহড়া দিতে বলা হয়েছে। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছিল, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একসময় খেই হারিয়ে ফেলেছিল। এবার যাতে আগাম প্রস্তুত থাকা যায় তার জন্যই মহড়া হবে মঙ্গলবার।