সিওল: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) যুদ্ধের শেষ কবে হবে জানা নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) আরও অস্ত্র সংগ্রহ করছে। এমনকী উত্তর কোরিয়া (North Korea) থেকেও অস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এমনই আশঙ্কার কথা বললেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টল্টেনবার্গ। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের শেষ কবে হবে জানা নেই। পুতিন আরও যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ বাড়াচ্ছে তারা।
সোমবার তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টল্টেনবার্গ (NATO Secretary General Jens Stoltenberg speaks ) বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেনকে মিলিটারি দিয়ে সাহায্য করুক। প্রয়োজনে নীতি পরিবর্তন করুক দক্ষিণ কোরিয়া। অনেক দেশের নীতি হচ্ছে, যেসব দেশ যুদ্ধে বা উত্তেজনার মতো ‘কনফ্লিক্টে’(Conflict) জড়িয়ে তাদেরকে অস্ত্র (Ammunition) রফতানি (Export) করা হয় না। কিন্তু, রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের পর অনেকে সেই নীতি (Policy) পরিবর্তন করেছে।
আরও পড়ুন: Afghanistan Cold Snap: আফগানিস্তানে প্রবল তুষারপাত, মৃত অন্তত ১৬৬
এশিয়া (Asia) ভ্রমণে এবার তিনি জাপানও যাবেন। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও চীনের সঙ্গে রেষারেষিকে মাথায় রেখে এই সফর তাঁর। এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা বিশ্বের অন্য এলাকাগুলির সঙ্গে ভূপ্রকৃতিগতভাবে সংযুক্ত। সেই কথা মাথায় রেখে অলিখিত সমর্থনের জোট করতে তাঁর এই সফর। তিনি জানিয়েছেন, এই জোট বিশ্বে যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে তা দূর করতে সাহায্য করবে। সিওলের চে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজে বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়াকে তিনি ধন্যবাদ দেন। বিভিন্নভাবে ইউক্রেনকে যাতে দক্ষিণ কোরিয়া সাহায্য করে সেজন্য তিনি দরবার করেন। কিভে অস্ত্র সরবরাহ করা জরুরি প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জার্মানি (Germany) ও নরওয়ের দীর্ঘদিনের নীতি ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে অস্ত্র সাহায্য করা হবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর সেই নীতিতে বদল আনা হয়েছে। আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, স্বেচ্ছাচারিতা যদি না চাই তাহলে ইউক্রেনের অস্ত্র দরকার। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে বর্তমানে অন্যতম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে ১০০টি ট্যাঙ্ক বিক্রি করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তারা। তার মধ্যে ন্যাটোর (Nato) সদস্য দেশ পোল্যান্ডও (Poland) রয়েছে। কিন্তু, দক্ষিণ কোরিয়ার নীতি রয়েছে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো কোনও দেশকে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। কিভকে অস্ত্র দিতে সেটাই সমস্যা করে দিচ্ছে।