দু’ বার যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ব্যর্থ হলেও এবার আর্টেমিস-১ রকেটকে চাঁদে পাঠাতে বদ্ধপরিকর নাসা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৪ নভেম্বরই তৃতীয় প্রচেষ্টা করা হবে। ওরিয়ন স্পেসক্রাফট বহনকারী স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটটি ওড়ার ৬৯ মিনিটের একটি সুযোগ থাকবে সেদিন।
দ্বিতীয় প্রচেষ্টার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে হানা দিয়েছিল হারিকেন ‘ইয়ান’। কিউবা এবং ফ্লোরিডার উপকূলে ব্যাপক তছনছ চলে। বাধ্য হয়েই লঞ্চপ্যাড থেকে হ্যাঙ্গারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আর্টেমিসকে। কয়েক সপ্তাহ হ্যাঙ্গারে রেখে সেটির আরও একবার ‘স্বাস্থ্যপরীক্ষা’ করেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে, তবে নাসা জানিয়েছে, এই রকেটটির তেমন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন নেই। তাই এবার তোড়জোড় চলছে আর্টেমিসকে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯বি লঞ্চপ্যাডে নিয়ে আসার।
আরও পড়ুন:Supreme Court-Hijab Row: সুপ্রিম কোর্টে দুই বিচারপতির মতভেদ, হিজাব মামলা গড়াল উচ্চতর বেঞ্চে
নতুন তারিখ ঘোষণার পর এবার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ থার্মাল প্রোটেকশন সিস্টেমের ফোম এবং কর্কের ছোটখাট ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করা। এছাড়াও রকেটের ব্যাটারিগুলি রিচার্জ অথবা বদল করতে হবে। নজর দিতে হবে সেকেন্ডারি পে-লোড সিস্টেম এবং ফ্লাইট টার্মিনেশন সিস্টেমেও। তারপরেই রকেটটিকে ভেহিকল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং থেকে বের করা হবে।
এদিকে রকেট উৎক্ষেপণের বিকল্প দিনক্ষণও ভেবে রেখেছে নাসা। ১৪ নভেম্বর যদি কোনও কারণে কাজ আটকে যায় তবে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম উড়ে যেতে পারে ১৬ অথবা ১৯ নভেম্বরে। এই দুই দিনই ১২০ মিনিটের ‘উইন্ডো’ খোলা থাকছে। নাসা জানিয়েছে, ১৪ নভেম্বর উৎক্ষেপণ সফল হলে সমগ্র ডেমো মিশনটির সময়সীমা হবে প্রায় সাড়ে ২৫ দিন। ৯ ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরে এসে পড়বে রকেটটি।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ‘ইয়ান’ হারিকেন সমস্যা করার আগে ইঞ্জিনে ত্রুটি এবং বুস্টারে লিক হওয়ার কারণে প্রথমবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার মেরামতি হয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায় নাসা। এই টেস্ট ফ্লাইট সেই লক্ষ্যেই তাদের প্রথম পদক্ষেপ। এতেই খরচ হয়েছে ৪.১ বিলিয়ন ডলার।