কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চীনের চোখরাঙানি, হুমকি উপেক্ষা করেই তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল আমেরিকা। একইসঙ্গে চীন বেজিংস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সাবধানবাণী শুনিয়ে দিল। বুধবার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার পরই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে চীন জানিয়ে দেয়, এই ভুলের মাশুল তাদের গুনতেই হবে। তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা বাড়বাড়ি করা বন্ধ করুক, তা না হলে এর মূল্য চোকাতে হবে।
চীনের আগ্রাসনের তোয়াক্কা না করে মার্কিন জনপ্রতিনিধিসভার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেখা করলেন। তাঁদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বুধবার পেলোসি বলেন, তিনি ও তাঁর প্রতিনিধিরা ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দিতে চায়, তারা নিঃসঙ্গ নয়। আমেরিকা তাদের পাশে আছে।
পেলোসি আরও বলেন, ৪৩ বছর আগে আমরা কথা দিয়েছিলাম, তাইওয়ানের পাশে রয়েছে আমেরিকা। আজ আমরা ২৫ বছর পর এই মাটিতে পা রেখে ফের বলছি, আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা ভুলিনি। তাইওয়ান একা নয়, আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে পেলোসি বলেন, স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে আপনারা এক অনুপ্রেরণা। চীনের নাম না-করেই পেলোসি আরও বলেন, গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে অলক্ষ্যে লড়াই চলছে। আর আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমেরিকা তাইওয়ানে গণতন্ত্র কায়েম রাখতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: Manish Tewari: ভারতেরও তাইওয়ানে সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি কংগ্রেস সাংসদের
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই আমেরিকার প্রশংসা করে বলেন, তাঁরা মার্কিন জনগণের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখেন। তাঁর দেশ প্রতি মুহূর্তে সামরিক অভিযানের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যত হুমকিই আসুক, তাঁরা স্বাধীনতা-গণতন্ত্রের দাবি থেকে পিছু হটবেন না। আত্মরক্ষার জন্য যা করার দরকার তাই করবে দেশের জনগণ।
বুধবারই পেলোসি তাইওয়ানের কিছু মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে ঠিক আছে। কেননা, পেলোসির সফরের মধ্যেই চীনা সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের আকাশসীমা, জলসীমার কাছাকাছি ঘোরাফেরা শুরু করেছে। এমনকী, তাইওয়ানের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্যেরও দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ-এশীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানও দুই মহাশক্তিধর দেশকে ধৈর্য বজায় রাখতে ও আলাপ-আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।