ক্যালিফোর্নিয়া: মাইক্রোসফট বনাম গুগল (Microsoft vs Google)। প্রযুক্তি দুনিয়ার দুই সুপারজায়ান্টের লড়াই এখন জমে উঠেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে (Artificial Intelligence) কে কাকে টক্কর দেবে আর কে বাজিমাৎ করে, সেটা সময় বলবে। কিন্তু মার্কিন ধনকুবের ও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইটের কর্ণধার এলন মাস্ক (Elon Musk, US Business Tycoon and Twitter Owner) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, চ্যাটজিপিটি বনাম বার্ডের (ChatGPT vs Bard) দ্বৈরথ একদিন মানব সভ্যতার (Human Civilization) পতন ডেকে আনবে। বলাবাহুল্য, তা যে কোনওভাবেই মাবজাতির জন্য গর্বের বিষয় হবে না, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 5G | 6G | ৬জি পরিষেবার দিকে অগ্রসর ভারত! কতটা আলাদা হতে চলেছে ৫জি থেকে?
গত নভেম্বর মাস থেকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় (Tech World) চ্যাটজিপিটি পা রেখেছে। ডিজিটাল দুনিয়ায় (Digital World) আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সুপারহিট এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গোটা দুনিয়া মজেছে ওপেনএআই (OpenAI) সংস্থার তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ট্যালেন্টে। সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, রচনা (Essay) লিখতে পারে, কম্পিউটার কোডিং (Computer Coding) লিখে দিতে পারে, আবার আপনি চাইলে কবিতা কিংবা লাভ লেটারও (Poem or Love Letter) লিখে দেবে। ফলে জনপ্রিয় হতে সময় লাগেনি। চ্যাটজিপিটির সফলতা দেখে গুগল তড়িঘড়ি তাদের নিজস্ব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স লঞ্চ করেছে বার্ড। এরই মাঝে ঘটে গিয়েছে প্রযুক্তি দুনিয়ায় আরও একটি বিপ্লব। চ্যাটজিপিটিকে সময়ের সঙ্গে আরও অ্যাডভান্সড করে তুলতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার (Web Browser) নিজেই এখন আর্টিফিসিয়ালি ইন্টেলিজেন্ট। এজ ব্রাউজারে বিং সার্চ ইঞ্জিন (Bing Search Engine, Edge Browser) এখন চ্যাটজিপিটি টেকনলজি সাপোর্টেড।
তাই লড়াই এখন জমে উঠেছে। আর তার সবচেয়ে বড় কারণ হলো, গুগল, নাকি মাইক্রোসফট, কে কত বেশি ইউজার (User) ধরতে পারে।
যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বের দুই অগ্রণী সংস্থার মধ্যে রেশারেশি শুরু হয়েছে, এলন মাস্ক মনে করছেন, এর সম্ভাব্য পরিণতি (Possible Consequence) ভয়ানক হতে পারে। দুই টেক কোম্পানির মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্রাউজার মার্কেটের দখলের লড়াইতে গোটা মানবসভ্যতাই না একদিন ধূলিসাৎ না হয়েছে যায়।
মাস্কের টুইট – “ব্রাউজার/সার্চ মার্কেটের অংশিদারিত্বের লড়াইতে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেলে, তা পরিহাস ছাড়া আর কিছু হবে না।”
Sure would be ironic if civilization ended because of a fight over browser/search market share
— Elon Musk (@elonmusk) March 24, 2023
মার্কিন ধনকুবের ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন, চ্যাটজিপিটি, বিং, বার্ড যেভাবে এগোচ্ছে এবং আগামী দিনে এতটা উন্নতি করবে যে মানুষের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সাম্প্রতিক অতীতে তিনি সতর্কও করে দিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে এবং মানবসভ্যতার ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিপ্লব এসেছে। আর যে সংস্থা চ্যাটজিপিটিকে তৈরি করেছে, সেই ওপেনএআই সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এলন মাস্ক নিজেই।