মুম্বই: এবার মুম্বইয়ে (Mumbai) ঘরে প্লাস্টিক ব্যাগের (Plastic Bag) ভিতর থেকে প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার হল। ঘটনায় ওই প্রৌঢ়ার মেয়েকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুম্বইয়ের লালবাগ (Lalbaug Area) এলাকায় ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্কের মধ্যে একাধিক টুকরো করা ছিল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মৃতার নাম বীণা জৈন (Veena Jain)। তাঁর মৃতদেহ বিকৃত অবস্থায় ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ২৩ বছর বয়সি তাঁর মেয়ে রিম্পল জৈনকে (Rimpl Jain) গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে মাস খানেক ধরে ওইভাবে দেহটি রেখে দেওয়া হয়। রিম্পলকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। তার কথায় অসঙ্গতি পেয়ে পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বীণাদেবীর ভাই ও ভাইপো পুলিশের কাছে মঙ্গলবার অভিযোগ করেন। বীণাদেবীকে পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন তাঁরা খোঁজ না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বইয়ের কালাচৌকি থানায় (Kalachowki PS) অভিযোগ দায়ের হয়।পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তাঁরা বীণাদেবীকে ২৬ নভেম্বর শেষ দেখেছিলেন। পুলিশ বীণাদেবীর ঘরে তল্লাশি শুরু করে। তাঁরা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করেন। তাতেই দেহটি পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, বীণাদেবী ডিসেম্বর মাসে সিঁড়িতে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল তা জানার জন্যে তদন্ত করছে পুলিশ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে নিকট জনের দেহ ঘরের মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে যে ঘটনা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তা হল, দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনা। আফতাব পুনাওয়ালা নামে ২৮ বছর বয়সি যুবক প্রেমিকাকে খুন করেছিল। তারপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে একটি ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। তারপর জঙ্গলে একটার পর একটা অংশ ফেলে দিয়েছিল। তাঁর এই নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Justice Rajasekhar Mantha | বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ পুলিশকে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, তাঁকে খুন করা পর তাঁর হাত, পা আলাদা করা হয়। ছোট ছুরি, কাস্তে এজন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশ তা উদ্ধার করেছে। একটি কাপবোর্ডের মধ্যে রেখে দেওয়া প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে তাঁর দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেন্সিক টিমকে (Forensic Team) ডাকা হয়। তাঁরা এসে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে, মেয়ে কী মাকে খুন করেছিল? অনিচ্ছাকৃত খুনের ঘটনা ঘটেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে চাইছে কবে ওই প্রৌঢ়াকে শেষ বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল। খুনের পিছনে কি সম্পত্তি না অন্য কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।