জব্বলপুর: ভাই বোনেদের মধ্যে ঝগড়া পরিবারের একটি অঙ্গ। ঝগড়া হয় আবার তা থেমে যায়। কিন্তু সেখানে এমন ঘটবে কেউ ভাবতেই পারেননি। একটি মোবাইল ফোন নিয়ে ঝামেলা। রাগের মাথায় তরুণী খেয়ে ফেলল মোবাইল (Mobile)। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন (Surgery) করে সেই ফোন বের করা হয়েছে কিশোরীর পাকস্থলী থেকে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ছোট ভাইবোনের ঝগড়া এরকম বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছনোয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার (Madhya Pradesh’s Bhind district ) ঘটনা। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ১৮ বছরের এক তরুণী চীনা সেলফোন খেয়ে ফেলে। ফোন নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে গণ্ডগোল থামাতে একাজ করে সে। ওই তরুণীকে দ্রুত গোয়ালিয়রের জয়ারোগ্য (Jayarogya Hospital) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর জরুরি অপারেশন হয়। অপারেশনের পর পাকস্থলী থেকে ফোনটি বের করা হয়। কেন এমন করল সে। জানা গিয়েছে দুই ভাইবোনের ঝগড়া কিছুতেই থামছিল না। সেজন্য রাগের মাথায় তিনি ফোন খেয়ে সমাধান করতে চেয়েছিলেন। ফোনটি খেয়ে ফেলার পর পরিবারের লোকেরা জানতে পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ফোনটি খেয়ে ফেলার পর পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করছিলেন। বমি করছিলেন। সেজন্য দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: UK PM Sunak | Meet Biden | আয়ারল্যান্ডে মুখোমুখি হতে চলেছে বাইডেন-সুনক
হাসপাতালে পৌঁছনোর পর ডা. প্রশান্ত শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন টিমে ডা. প্রশান্ত পিপারিয়া ঘটনাটি হাতে নেন। তাঁর এক্স রে করা হয়, সিটি স্ক্যান করা হয়। ডাক্তার ঘটনাটির কথা জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। ওই টিমে ডা. নবীন কুশহাওয়া নামে আরও এক ডাক্তার যোগ দেন। তাঁরা বুঝতে পারেন এন্ডোস্কোপি, ল্যাপারোস্কোপিতে এটা করা যাবে না। এরপর ডাক্তাররা অপারেশনের রাস্তা নেন। প্রায় দুঘণ্টা অপারেশন চলে। তাঁর দশটি সেলাই হয়। তিনি সুস্থ রয়েছেন। শীঘ্রই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। ঘটনায় ডা. কুশহাওয়া বলেন, বেনজির ঘটনা। তাঁর মেডিক্যাল কেরিয়ারে এরকম ঘটনা তিনি দেখেননি। তিনি বলেন বাড়ির ছোটদের হাতে মোবাইল দেওয়ার আগে এর ব্যবহার বুঝিয়ে দিতে হবে। ভালো করে সতর্ক না হয়ে মোবাইল ব্যবহার করতে দিলে হিতে বিপরীত হবে। গত সপ্তাহে এরকম আরেকটি ঘটনা দেখা গিয়েছিল ইন্দোরে যখন ১১ মাসের শিশু মিনি এলইডি বাল্ব খেয়ে ফেলেছিল।