বড়ঞা: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad( বড়ঞা ব্লকের কুলি মাঠে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Choudhury) হাত ধরে দেড় হাজারের বেশি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক যোগদান করলেন কংগ্রেসে। শুক্রবার অধীর চৌধুরী ছাড়াও ওই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের (Congress) মুখপাত্র জয়ন্ত দাস, প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের মহকুমা সভাপতি সফিউল আলম খান, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নরোত্তম সিনহা, তাপস দাশগুপ্ত, শিলাদিত্য হালদার সহ একাধিক নেতৃত্ব। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই চলে সভা।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হাত ধরে কুলি, সাবলপুর, বিপ্রশেখর, সাবলদহ সহ বড়ঞা ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার বহু তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেন। সভায় অধীর চৌধুরি বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, শাসকদলের উপরমহলের অঙ্গুলিহেলনেই জীবনকৃষ্ণ নিয়োগ দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছেন। এখন নানা মিথ্যা কথা বলে তদন্তকে বিপথে পরিচালিত করতে চাইছেন জেলবন্দি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে। তার জন্যই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা বলেন, ভোট এলেই বিজেপি এবং এনআরসি নিয় প্রচার পাল্টা প্রচার চালায়। আসলে দুই দলই এনআরসি ইস্যুকে জাগিয়ে রাখতে চায়। তাঁর অভিযোগ, দিদি এবং মোদির সেটিং হয়ে গিয়েছে। তার জন্যই সিবিআই তদন্ত উপরমহল পর্যন্ত পৌঁছবে না।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে বড়ঞায় (Burwan) তৃণমূলের এই ভাঙনে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস শিবির।
বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের নওদায় (Naoda) প্রায় সাতশো তৃণমূল সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেন। গত কয়েক দিনে এই জেলার বিভিন্ন ব্লকে বহু তৃণমূল নেতা, সমর্থক ও কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রায় প্রতিটি সভাতেই অধীর নিজে হাজির থেকেছেন। তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, হাইপ তুলছে কংগ্রেস। একই যোগদানকে বারবার দেখানো হচ্ছে। এতে কোনও প্রভাব পড়বে না। কংগ্রেসের সভায় লোক হয় না। পাল্টা অধীর বলেন, এখানে সবাই কংগ্রেসে চলে আসবে। মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। অনেকেই ভুল বুঝতে পেরেছে। ২০২১ সালের ভোটের আগে মিথ্যার বেসাতি করে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙার চেষ্টা করেছিল। যারা সেসময় ভুল বুঝেছিল, আজ তারা আবার কংগ্রেসের ছাতার তলায় চলে আসছে।