কলকাতা: দিনটা ছিল ১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। সারা দেশের মানুষের সেদিন চোখ ছিল টিভির পর্দায়। ফুটবল সম্রাট পেলে ওই দিনেই তৎকালীন রঞ্জি স্টেডিয়ামে(বর্তমানে ইডেন গার্ডেন) ফুটবল খেলতে নেমেছিলেন প্রতিপক্ষ ছিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব মোহনবাগান। দুই ক্লাবের খেলাকে ঘিরে সেদিন মেতে উঠেছিল গোটা রাজ্য। খেলার টিকিটের জন্য রীতিমতো হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। এই ম্যাচের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের পূর্তমন্ত্রী, বাঙাল হয়েও কট্টর মোহনবাগানি যতীন চক্রবর্তী।
তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ সাড়ে চার দশক। সেদিন মোহনবাগানের হয়ে যাঁরা মাঠ কাপিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ নেই, অনেকে বৃদ্ধ, কেউ কেউ অসুস্থ। আবার কেউ কেউ এখনও সুস্থ সবল। এমনই কয়েকজন প্রাক্তন ফুটবলার আগামিকাল শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সেদিনের স্মৃতিচারণ করবেন। উপস্থিত থাকবেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকার, বিদেশ বোস, মানস ভট্টাচার্য, সুব্রত ভট্টাচার্য সহ সেদিনের লড়াকু ফুটবলাররা।
প্রবীণদের অনেকেরই মনে আছে ওই খেলার কথা। মোহনবাগানের ডাকাবুকো প্লেয়াররা অসাধারণ খেলে রুখে দিয়েছিলেন পেলের দল কসমসকে। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা ও মহম্মদ হাবিব। আর কসমসের হয়ে গোল করেন কার্লোস আলবার্তো ও জর্জিও চিনাগ্লিয়া।
সেদিন মোহনবাগানের প্রথম একাদশে ছিল শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, সুধীর কর্মকার, সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রদীপ চৌধুরী, দিলীপ পালিত, গৌতম সরকার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ আকবর, শ্যাম থাপা, মহম্মদ হাবিব ও বিদেশ বোস।
খেলার ৪৬ মিনিটের মাথায় গোলরক্ষক শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় খেলতে আসেন বিশ্বজিৎ দাস, দিলীপ পালিতের জায়গায় কম্পটন দত্ত, মহম্মদ আকবরের জায়গায় সুভাষ ভৌমিক, শ্যাম থাপার জায়গায় মানস ভট্টাচার্য।
মোহনবাগানের এই টিমই সেদিন নাস্তানাবুদ করেছিল ফুটবল সম্রাট পেলে, টনি ফিল্ড, ভিটো দিমিত্রিজেভিক, কার্লোস আলবার্তো সহ কসমসের দুর্ধর্ষ দলকে। প্রদর্শনী ম্যাচে মাঠ ছিল পরিপূর্ণ। বিদেশ থেকেও খেলা দেখতে এসেছিলেন অনেক ফুটবল অনুরাগী।