বেঙ্গালুরু: বুধবার পঞ্জাব এফসির কাছে ইস্টবেঙ্গলের শোচনীয় পরাজয় দেখে মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যেও কিছুটা আশঙ্কার মেঘ জমা হয়েছিল। প্রথমার্ধের খেলা দেখে সেই মেঘ যেন আরও ঘনীভূত হয়। কিন্তু পেত্রাতস, মনবীর, কাউকোরা যে খেলা দেখালেন, তা দেখে ওই বিখ্যাত হয়ে যাওয়া খুদে সমর্থকের মতো বলতে ইচ্ছে করবে, “ইস কা নাম হ্যায় মোহনবাগান।”
বেঙ্গালুরুকে ৪-০ উড়িয়ে দিয়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড যেন কান্তিরাভা স্টেডিয়াম থেকেই মুম্বই সিটি এফসিকে বার্তা পাঠিয়ে রাখল, আমরা আসছি। যুবভারতীতে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। হ্যাঁ, ১৫ এপ্রিল মোহনবাগানের কাজটা বেশি কঠিন, কারণ তাদের জিততেই হবে। মুম্বই ড্র করলেও লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। তাদের কাছে এটা মরসুমের শেষ লিগ ম্যাচ, কিন্তু বাগান ব্রিগেডের জন্য ফাইনাল।
আরও পড়ুন: ‘আমার আচরণে জনতা হতাশ,’ কেন বললেন কোহলি!
আইটি নগরীর কান্তিরাভা স্টেডিয়াম মোহনবাগানকে খুব একটা খালি হাতে ফেরায় না। ২০১৪-১৫ মরসুমে এখান থেকে এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সঞ্জয় সেনের মোহনবাগান। আজকের ডু অর ডাই ম্যাচেও ঝুলি ভর্তি সাফল্য নিয়ে ফিরলেন শুভাশিস বসুরা। প্রথমার্ধে কর্নার থেকে গোল করেন হেক্তর ইউস্তে। বেঙ্গালুরু পেনাল্টি পেয়েছিল, কিন্তু বারে মারলেন স্বয়ং সুনীল ছেত্রী। এরপরেই মনে হচ্ছিল দিনটা মোহনবাগানের।
What a performance, 4 goals, clean sheet and 3 HUGE points! All to play for at VYBK on Monday! ⚡️
Watch #ISL 2023-24 live on @JioCinema , @sports18 & @vh1india 👉 https://t.co/s6ihnnu494#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #ISL10 #LetsFootball #ISLonJioCinema pic.twitter.com/Xu1SunU75Z
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) April 11, 2024
প্রথমার্ধে জঘন্য ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখা (যেটা লাল কার্ড হলেও কিছু বলার ছিল না) অমনদীপকে তুলে আশিস রাইকে নামিয়ে দেন সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেস। ফলে দুই সেন্টার ব্যাক এবং দুই ফুল ব্যাকের ফর্মেশনে চলে আসে মোহনবাগান। ওখানেই খেলা ঘুরে যায়। বাঁ দিক থেকে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন মনবীর। ৫১ মিনিটে জনি কাউকোর দুরন্ত ব্যাকহিল ধরে গুরপ্রীতকে বোকা বানিয়ে ২-০ করেন বাগানের ১১ নম্বর।
তার তিন মিনিট পরে বক্সের অনেক বাইরে থেকে কাউকোর শট গুরপ্রীতের হাত ছিটকে বেরিয়ে এলে পেত্রাতস বল ধরে এগিয়ে আসা অনিরুদ্ধ থাপাকে বাড়িয়ে দেন। দারুণ ফ্লিকে ৩-০। এরপর ৫৯ মিনিটে শুভাশিসের দুরন্ত থ্রু বল ধরে বাঁ প্রান্ত থেকে আর্মান্দো সাদিকুর জন্য নিচু ক্রস রাখেন মনবীর। সাদিকু ৪-০ করেন। এরপর খেলার আর কিছু পড়ে ছিল না।
পুনশ্চ: ৪-০ হয়ে যাওয়ার পরে ইংরেজি ভাষার ধারাভাষ্যকার একটা পরিসংখ্যান দিলেন। এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল যত পয়েন্ট (২৪) সংগ্রহ করেছে, মোহনবাগান শুধু অ্যাওয়ে ম্যাচে তার থেকে বেশি পয়েন্ট (২৮) পেয়েছে।