প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ফোনেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার দিন ঠিক করে ফেলেছেন ঋষি সুনক। নভেম্বরের মাঝামাঝি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০-র বৈঠক হওয়ার কথা। সম্ভবত সেখানেই আলাদাভাবে আলোচনায় বসবেন ভারত ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। বসার তাগিদও আছে দুতরফেই। আর সে তাগিদ যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তা হল দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বানিজ্য চুক্তি রূপায়ন।
ঋষি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মোদী ফোন করে তাঁকে অভিনন্দন জানান। প্রস্তাবিত মুক্তি বাণিজ্য চুক্তিতে সমস্ত দিককে সংযুক্ত করে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনের কথা সেই ফোনে আলোচনার ফাঁকে জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু সেই চুক্তির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আপাতত দর কষাকষি চলছে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে। দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না করে কতটা সুযোগ ব্রিটেনকে দেওয়া যায়, ভারতের তরফে সেই ব্যাপারেই চলছে বিচার-বিশ্লেষণ।
মোটের উপর সিদ্ধান্ত ছিল ওই মুক্ত বানিজ্য চুক্তি দিওয়ালির আগেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি প্রধানমন্ত্রী ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের টালমাটাল রাজনীতির জেরে। ঋষি সুনক দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ফোনে আলোচনার বিষয়টি উল্লেখ করে টুইটে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “দুই দেশের সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারির দিকটিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা আরও প্রচেষ্টা চালাব। সমস্ত রকম ভারসাম্য বজায় রেখে মুক্ত বানিজ্য চুক্তি রূপায়নের ব্যাপারে আরও দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা যে অত্যন্ত জরুরি সে বিষয়ে আমরা সহমত হতে পেরেছি।”
আর ঋষি সুনক তাঁর টুইটে নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লেখ করেন, ভারত এবং ব্রিটেনের মত দুই গণতান্ত্রিক শক্তি পরস্পরের মধ্যে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং আর্থিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও দৃঢ় করতে পারলে ভবিষ্যতে দুতরফের পক্ষে আরও অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে।