নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিগত কংগ্রেস সরকারকে ‘সত্তর বছরে কিছুই হয়নি’ বলে আক্রমণ করেছে৷ সেই ‘সত্তর বছরে কিছুই হয়নি’ প্রসঙ্গ তুলে মঙ্গলবার মোদি সরকারকে কড়া আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ তিনি বলেন, যে সরকার নিয়মিত বলে, ‘সত্তর বছরে কিছুই হয়নি’ তারাই গত সত্তর বছরে তৈরি সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান-সম্পত্তি বেচে দিচ্ছে৷ রেল, গ্যাস পাইপ লাইন কিছুই বাকি রাখছে না৷ মাত্র তিন চার বছরে দেশের মানুষকে সর্বশান্ত করে বিপদর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ দুই-তিন জন উদ্যোগপতি ‘মিত্র’কে খুশি করতে সব কিছুই তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মোদি৷
This Asset Monetisation Pipeline is talking about brownfield assets which need to be better monetised. Ownership of assets remains with the govt. There will be a mandatory hand-back; they will have to give it back after a certain time: Smt @nsitharaman pic.twitter.com/9WtJsTyDpE
— Nirmala Sitharaman Office (@nsitharamanoffc) August 23, 2021
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশের অব্যবহৃত যাবতীয় সামগ্রী বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ব্যবহার করার পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল গান্ধি৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন মোদি৷ করোনার সময় বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন৷ সাধারণ গরীব মানুষকে সাহায্য করেননি মোদি৷
আরও পড়ুন- তালিবান প্রশ্নে চুপ কেন মুসলিম ল-বোর্ড, জাভেদের টুইটে তোলপাড় নেটপাড়া
রাহুলের দাবি, মাত্র তিন চার বছরে মোদি ৪০০ স্টেশন, ১৫০টি ট্রেন, ২৬ হাজার কিমি হাইওয়ে বিক্রি করে দিয়েছে৷ দুটি জাতীয় স্টেডিয়াম ১১ হাজার কোটিতে বিক্রি করেছে৷ আগের তুলনায় নাগরিকদের আয় কমেছে৷
সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছিলেন, কোনও অব্যবহৃত সামগ্রী, যার কোনও মালিকানা নেই, সম্পদ হলেও যা দিনের পর দিন অবহেলায় পড়ে রয়েছে, তার নির্দিষ্ট অর্থমূল্য ধার্য করে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ব্যবহার করা হবে। এই অর্থের লভ্যাংশ কেন্দ্রের হাতে থাকার কথা বলেন। এরফলে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারের কিছুটা চাপ কমতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সেই কাজ কীভাবে হবে, তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের ব্যাখ্যায় বলেন, চার বছর পর এসবের নির্দিষ্ট মূল্য স্থির করা হবে৷
আরও পড়ুন-১৯৭১-র ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ই তাতাচ্ছে ভারতীয় দলকে
কিন্তু, ৬ লক্ষ কোটি টাকার National Monetisation Pipeline (NMP) প্রকল্পের বিরোধিতায় বিরোধীরা গর্জে উঠেছে৷ তাদের অভিযোগ, NMP-তে বেসরকারিকরণের পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে৷ তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এটা জনবিরোধী এক নীতি। এতে সরকার নিয়ন্ত্রিত একাধিক সামগ্রী বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার রাস্তা চওড়া হচ্ছে। এটি আসলে লিজ প্রক্রিয়ার মতোই। নির্দিষ্ট সময় পর তা বিক্রিও করা যাবে।
সুখেন্দু শেখর আরও বলেন, এনএমপি-র মধ্যে যেমন রেল স্টেশন রয়েছে, তেমনই রয়েছে জাতীয় গ্যাস পাইপলাইন, রাস্তা, বিদ্যুৎ প্রকল্প-সহ একাধিক সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদ। জাহাজবন্দর, বিমানবন্দরকেও আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই ভাবে বেসকারিকরণের পথে এগোতে চাইছে কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ তাঁর।