নদিয়া: রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার ভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে৷ এবার নদিয়ার শান্তিপুরে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় পোস্টার পড়ল এলাকায়৷ শান্তিপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল প্রার্থী করেছে প্রশান্ত গোস্বামীকে৷ যিনি এলাকার বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর বাবা৷ কিন্তু প্রশান্ত গোস্বামীকে প্রার্থী করায় অখুশি ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ৷ শনিবার সকাল থেকেই প্রার্থী পছন্দ নয় লেখা পোস্টার নানা জায়গায় চোখে পড়ে এলাকাবাসীর৷ যদিও প্রশান্ত গোস্বামীর দাবি, দলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়৷
এবারের পুরভোটে কোনও বিধায়ক লড়বেন না বলে জানিয়েছিল তৃণমূল৷ সেই সঙ্গে পরিবারতন্ত্রে রাশ টানতে একই পরিবারের একাধিক জনকে টিকিট দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়৷ কিন্তু শুক্রবারের প্রার্থিতালিকায় দেখা গিয়েছে, এমন অনেককে টিকিট দেওয়া হয়েছে যাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দলের কোনও না কোনও পদে রয়েছেন৷ তেমনই ঘটনা ঘটেছে শান্তিপুরে৷ কিন্তু দল যাকে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে সেই প্রশান্ত গোস্বামীকে মেনে নিতে পারছেন না এলাকার তৃণমূল কর্মীরা৷
তাঁদের বক্তব্য, এই ওয়ার্ডে ৩০ বছরের বেশি সময় পুরপিতা ছিলেন অজয় দে৷ কিন্তু তিনি মারা যান৷ অজয় দে-র জায়গায় যাঁকে দল টিকিট দিয়েছে তাঁর না আছে জনভিত্তি না আছে কাজের অভিজ্ঞতা৷ এলাকার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও তিনি খুব একটা জনপ্রিয় নন৷ তাই এই প্রার্থীকে অনেকেরই পছন্দ হয়নি৷ তারপর শনিবার সকাল থেকে এলাকায় পোস্টার পড়ার পর এ নিয়ে আরও জল্পনা শুরু হয়েছে৷ অনেক জায়গায় পোস্টারের নীচে লেখা ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি৷
তৃণমূল প্রার্থী প্রশান্ত গোস্বামী৷ শনিবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
এদিকে যাঁকে ঘিরে এত বিক্ষোভ সেই প্রশান্ত গোস্বামী বলেন, ‘অনেক ওয়ার্ডেই প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে৷ এখানে কেন ঘটল জানি না৷ খোঁজ নিতে হবে৷ কিন্তু আমার বিশ্বাস, দলের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়৷ আমার নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কর্মীরা শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন৷ কীভাবে প্রচার শুরু হবে সেব্যাপারে কর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ রাতের অন্ধকারে কেউ পোস্টার সাঁটিয়েছে৷ রাতের অন্ধকারে এসব কাজ বিরোধীরাই করে৷’