ভাঙড়: ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক ভোট কর্মী। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জীবনতলা থানার দক্ষিণ বাঘমারি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় সর্দারের ভোটের ডিউটি পড়েছিল ভাঙড় ২ ব্লকের দক্ষিণ গাজীপুরের ১০৭ নম্বর বুথে এসএসকে স্কুলে। ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সঞ্জয় সর্দার ছিলেন দ্বিতীয় পোলিং অফিসার। ভোটগ্রহণের পর সমস্ত কাজ শেষ করে রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ কাঁঠালিয়া হাইস্কুলে ডিসি,আরসি (ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার, রিসিভিং সেন্টার) সেন্টারে ব্যালট বক্স সহ অন্যান্য জিনিস জমা দেন। এরপর কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে শিয়ালদা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে ট্রেনে ক্যানিং যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি রবিবার বিকেল পর্যন্ত বাড়িতে ফেরেননি। সঞ্জয়বাবু একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে তাঁর পরিবার। এদিন তাঁর স্ত্রী টুম্পা সর্দার জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: Santiniketan Incident | শান্তিনিকেতনে চোর সন্দেহে যুবককে হাতে পায়ে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখার অভিযোগ
কাশীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। সঞ্জয়ের ভাইপো দীপঙ্কর সর্দার বলেন, গতকাল রাত ২টোর সময় শেষবার তাঁর সঙ্গে পরিবারের কথা হয়েছিল। ফোনে চার্জ ছিল না বলে অন্য এক জনের মোবাইল থেকে ফোন করেছিলেন কাকা। ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, কাঁঠালিয়া হাই স্কুলে ব্যালট বাক্স জমা দিয়ে সবে ফিরেছেন। শুনেছি, পরে বাড়ি ফেরার জন্য সেখান থেকে বেরিয়েও পড়েছিলেন কাকা। কিন্তু তার পর থেকে কাকার আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। ক্যামেরার সামনে পোলিং অফিসারকে ভয়ে কাঁদেতও দেখা গিয়েছে। তারই মধ্যে ভোট করেছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিশেষ করে ভাঙড় উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা। ফলে পোলিং অফিসারের এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে এই বিষয়ে পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।