কলকাতা: ফাটল নজরে আসার ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে মেট্রোর টানেলে জল ঢোকা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। আজ, শুক্রবার সকালে একথা জানালেন মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, মেট্রোর কাজ চলাকালীন দেড় মিটার জায়গা জুড়ে ১১টি পকেট দিয়ে টানেলে জল ঢুকছিল। সেগুলি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। নতুন করে ফাটলের সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
এদিন কেএমআরসিএল এবং কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরসভা। ওই বৈঠকের পর এলাকার পরিদর্শনে যাবেন ইঞ্জিনিয়াররা। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুদিন বাড়িগুলি খালি রাখা হবে। গ্রাউটিংয়ের কাজ শেষ হলে মেরামতের কাজ শুরু হবে। কেএমআরসিএল-এর হিসেব অনুযায়ী, ৯টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। যদিও কলকাতা পুরসভার দাবি, মোট ১৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈঠকে এই বিষয়টি ছাড়াও বাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়েও আলোচনা হবে।
মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বুধবার সন্ধের পর থেকে অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, ২০১৯ সালে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেগুলি মেরামত করার পরেও তার কয়েকটিতে এ বারও ফাটল ধরল। তা হলে কি ওই সময় সঠিক ভাবে মেরামতির কাজ হয়নি? এমনই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: Purulia: চাকরির টোপ দিয়ে ৪৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা, পুরুলিয়ায় গ্রেফতার ৪
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, মেট্রোর কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। তার মধ্যেই বুধবার সন্ধেয় ফিরল ২০১৯ সালের অগস্ট মাসের সেই ভয়াবহ স্মৃতি। সেই সময় দুর্গা পিতুরি লেনে কাজ চলাকালীন প্রায় ৪০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। ভেঙে দিতে হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়িও। সদলবলে বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় মাথা গোঁজেন স্থানীয়রা। বুধবার সন্ধেতেও ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুধু বাড়িতেই নয়, সংলগ্ন রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে।