কলকাতা: প্রাথমিকভাবে অনুমান মানসিক অবসাদ থেকেই গুলি চালিয়েছেন চোডুপ।কিন্তু আই মানসিক অবসাদের কারণ কী?প্রেম ঘটিত কোনও কারণ থেকে এই মানসিক অবসাদ? নাকি অন্য কিছু? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিহত চোডুপ লেপচার পরিচিত- আত্মীয়- বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলবেন লাল বাজারের গোয়েন্দারা। প্রয়োজনে তাঁর বাড়ি কালিম্পং-এর দোকান দ্বারাতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করবেন।
প্রাথমিকভাবে, ঐ পুলিসকর্মীর বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করায় পুলিস জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চোডুপ। সেই কারণেই সম্ভবত ভরদুপুরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিসকর্মী। তবে, চোডুপ লেপচা ঠিক কী কারণে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন? পারিবারিক কোনও সমস্যা নাকি প্রেমঘটিত কোনও কারণ বা অন্য কোনও কারণ তা এখনও জানা যায়নি।
বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছে এক পুলিস কিয়স্কে শুক্রবার চোডুপের ডিউটি ছিল। দুপুর দেড়টার সময় হঠাৎই একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। পাশ দিয়েই স্কুটিতে যাচ্ছিলেন রিমা নামে এক মহিলা। একটি গুলি লাগে তাঁর গায়ে। তিনি স্কুটি থেকে লুটিয়ে পড়েন। মৃত্যু হয় তাঁর। ওই সময়ই স্কুটিতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ডেলিভারি বয় সরফরাজ। একটি গুলি লাগে তাঁরও পিঠে। তিনিও রাস্তায় পড়ে যান। হেঁটে যাচ্ছিলেন বসির আলম। রাইফেলের গুলি তাঁর হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। সব শেষে পুলিস কনস্টেবল চোডুপ লেপচা নিজের গলায় গুলি চালান। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। রাইফেলটি পাশেই পড়েছিল।
আরও পড়ুন Petughat: পেটুয়াঘাটে ট্রলার দুর্ঘটনায় উদ্ধার ২, এখনও নিখোঁজ ৫
আত্মঘাতী কনস্টেবলের বাড়ি কালিম্পং-এর দোকান দ্বারা এলাকায়। বাবা সেরিন লেপচা ছিলেন কলকাতা পুলিসের দক্ষিণ ডিভিশনের কনস্টেবল। ২০১৭ সালে বাবার মৃত্যু হয়। গতবছর কলকাতা পুলিসের চাকরিতে যোগ দেন ওই কনস্টেবল। মা অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। দেশের বাড়িতে শুধু রয়েছেন আত্মঘাতী কনস্টেবলের দাদা এবং বৌদি। গত মাসের ৩০ তারিখে দশ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে যান। ছুটি কাটিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার লালবাজারের ডিউটিতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন Nupur Sharma: পয়গম্বর বিতর্কে নূপুর শর্মাকে তলব মুম্বই পুলিসের, ২৫ জুন হাজিরার নির্দেশ