নয়াদিল্লি ও পাটনা: মোদি বিরোধী জোটের আঁতুড়ঘর পাটলিপুত্রে এবার ‘অপারেশন কমল’? অন্তত বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় প্রবীণ নেতার দাবি সেরকমই। নীতীশ কুমারের দল সংযুক্ত জনতা দলের অনেক বিধায়ক-সাংসদ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। শুধু তাই নয়, নীতীশের দলে ‘বিদ্রোহ’ দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলে সোমবার দাবি করেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি। তাঁর কথায়, জেডিইউয়ের অনেক নেতাই নীতীশ কুমারের উত্তরসূরি হিসেবে তেজস্বী যাদবকে মেনে নিতে নারাজ। অন্যদিকে, বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও মানতে চাইছেন না তাঁরা।
সুশীল মোদির দাবি, বিহার জেডিইউয়ের ভিতরে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বিজেপি কি জেডিইউয়ের বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিতে রাজি আছে? এর অবশ্য কোনও জবাব দেননি মোদি। তবে এও বলেন, নীতীশ কুমার যদি বিজেপির দ্বারস্থ হন, তাহলে দল তা মেনে নেবে না। মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও নীতীশের দলে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দেওয়ার কারণ হিসেবে সুশীল মোদি বলেন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা এবং জোটের মুখ বা প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকে স্বীকার করে নেওয়া মানতে পারছেন না তাঁর দলের নেতারাই। জেডিইউয়ের একজনও বিধায়ক-সাংসদ রাহুল ও তেজস্বীকে মানতে নারাজ, জানান মোদি।
আরও পড়ুন: SCO Summit | মোদির পৌরোহিত্যে বসছে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন, কথা হবে জিনপিং, পুতিনের সঙ্গেও
তাঁর আরও দাবি, যে কোনও দিন নীতীশের দলে ভাঙন হতে পারে। কী হতে চলেছে তার কোনও গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাঁরা বিশ্বাস করেন, বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া ছিঁড়ে নীতীশ কুমার বেরিয়ে আসার পর থেকে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জেডিইউয়ের সাংসদদের অনেকেই টের পেয়ে গিয়েছেন যে, তাঁদের অনেকেই আর টিকিট পাবেন না। ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারে তা বুঝে গিয়েছেন সাংসদরা। এই কারণেই তলায় তলায় তাঁরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে হটাতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই প্রথম আসরে নামেন। রাজ্য রাজ্য ঘুরে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাই এবার নীতীশের গড়ে সিঁদ কাটার চেষ্টায় নেমেছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের মতো বিহারের রাজনীতিতেও অ্যাকশনে নামার ফল্গুস্রোত শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দলের ঐক্য ও স্থায়িত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না নীতীশ কুমার সেটাই এখন দেখার।