ইম্ফল: মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেটে (Internet) নিষেধাজ্ঞার (Ban) মেয়াদ বাড়ল। আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অশান্তির জন্যই মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের (State Government) তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছ,, মণিপুর রাজ্যে শান্তিভঙ্গে ও আইন শৃঙ্খলায় যাতে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ জুলাই বেলা ৩ টে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পুলিশের ডিজির (DG) চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। বাড়ি ভাঙচুর সহ গুলি চলছে। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়াকে (Social Media) ব্যবহার করতে ঘৃণা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থবার ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হল। এর আগে ৩০ জুন মণিপুর সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখে।
উল্লেখ্য, দু’মাস পর গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে স্কুল খুলেছে (School Open) মণিপুরে (Manipur)। স্কুল খোলার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। তিনি জানান, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ৫ জুলাই থেকে স্কুলে যেতে পারবে। মে মাস থেকে কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ (Clash of Kuki and Meitei) শুরুর পর থেকেই উত্তরপূর্ব রাজ্যে পড়াশোনা শিকেয় উঠেছিল। একটানা ৬২ দিন স্কুল-কলেজে তালা ঝুলছিল। দীর্ঘ বিরতির পর গতকাল বুধবার থেকে ফের রাজ্যে পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার।
আরও পড়ুন: CV Ananda Bose | রবীন্দ্রভারতীর নয়া উপাচার্যের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি রাজ্যপালের
গত দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। বিশেষ করে রাজধানী ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, চূড়াচন্দ্রপুর একাধিক জায়গায় সরাসরি সংঘর্ষে্ জড়িয়ে পড়ে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠী। আরপরই অশান্তি গোটা রাজ্যজুড়েই ছড়িয়ে পড়ে। হিংসা রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সেনা মোতায়েনও করা হয়। সরকারি হিসেবে ১১৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।