আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাত আটটার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই সিবিআই অফিসাররা মানিককে জেরা করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে হাজির ছিলেন নিজাম প্যালেসে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উত্তরপত্রের ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে ১২তম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। প্রায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। তার মধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ২০১৭ সালে পর্ষদ ওই শিট নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে এদিন আদালতে হলফনামা দেয়। একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে ওই শিট নষ্ট করার বরাত দেওয়া হয়েছিল কোনও টেন্ডার ছাড়াই। এমনকি পর্ষদের কোন বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার কোনও উল্লেখ নেই পর্ষদের হলফনামায়। দুই পক্ষের সওয়াল শেষে আদালত ওএমআর শিট নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে বিচারপতি সিবিআই তদন্তের কথা বলেও তাদের সমালোচনা করতে ছাড়েননি।
আরও পড়ুন: সুব্রতর মৃত্যুর জন্যও দায়ী কেন্দ্রীয় এজেন্সি, একডালিয়ার পুজো উদ্বোধনে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
এর আগে হাইকোর্টে নিযুক্ত কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার যাদবপুরে মানিকের বাড়ি যান। সেখান থেকে বলা হয়, তিনি এদিন সকাল সাড়ে সাতটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। ওই পুলিশ অফিসার পরে যাদবপুর থানায় গিয়ে একটি জেনারেল ডায়েরি করেন। মানিকের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, মানিকের মোবাইল ফোনেরও সুইচ বন্ধ।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে মানিককে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে। আবার মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আগামিকাল ফের মামলার শুনানি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন মানিক। সেই মামলাতেই এদিন শীর্ষ আদালত বুধবার পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেয়।