কলকাতা: রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীদের দফতরে খরচে রাশ টানতে চাইছে সরকার। এ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মঙ্গলবার মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানে মন্ত্রীদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা, কোনও রকম বাড়তি খরচ করা যাবে না। আর যদি খরচ করতেই হয়, তো সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে ছুঁয়ে যেতে হবে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা সিএমও’র অনুমতি থাকলেও খরচ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: এখনই মিলছে না লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি: মমতা
নবান্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একাধিক মন্ত্রীদের দফতরের খরচে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। তাই বাড়তি খরচ আটকাতে তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে না জানিয়ে কোনও বড় খরচ নয়।
আরও পড়ুন: এখনই মিলছে না লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি: মমতা
১৬ অগাস্ট থেকে রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ‘দুয়ারে প্রকল্প’ শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় ক্যাম্প খুলে সেখানে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। এর আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে মহিলাদের ভিড় চোখে পড়েছিল। এ বার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে মহিলাদের উৎসাহ প্রচুর। শুধু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ না ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’, ‘জয় জোহার’, ‘বিধবা ভাতা’, ‘বয়স্ক ভাতা’ সহ একাধিক প্রকল্পের সুলুকসন্ধান এখন ‘দুয়ারে সরকার’। যার জন্য প্রচুর পরিমাণ সরকারি তহবিল প্রয়োজন। এই সব সরকারি প্রকল্পের কথা মাথায় রেখেই কোষাগার থেকে বাড়তি কোনও রকম খরচ চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার, দাবি মমতার
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুয়ারে প্রকল্প চালু হওয়ার পর, ‘তিন দিনেই ৪৬ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে’। এই সংখ্যাতেই পরিস্কার সরকারি প্রকল্প নিয়ে মানুষের বিপুল উৎসাহ। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সময়সীমা নির্দিষ্ট হয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘দরকারে সময়সীমা আরও দু’তিন দিন বাড়ানো যেতে পারে’। অর্থাৎ আগামী এক মাস সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র যে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে সেটা এখন থেকেই অনুমান করা যায়। কয়েক কোটি আবেদনকারীর কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দিতে নবান্নের তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে। যেখান থেকেই মন্ত্রীদের দফতরে খরচ রাশের সিদ্ধান্ত বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।