কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: তাঁর বিকল্প তিনিই। ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন। প্রমাণ করে দিলেন। আবারও প্রমাণ হল বাংলা মমতাময়। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল চার পুরনিগমে রং সবুজ। ঠিক যেমনটা আশা করা গিয়েছিল। ঠিক যেমনটা বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলো বলেছিল।
ঝড়টা শুরু হয়েছিল বোধহয় ১১ বছর আগে। ২০১১। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে হাওয়াই চটি পরা মহিলা পা রেখেছিলেন মহাকরণে। ঝড়ের গতিতে বাংলার উন্নয়ন গতিশীল হয়েছে। বাংলার উন্নতি হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিজেপি একটা শব্দ শোনা গিয়েছিল। যা ফল প্রকাশের পর ফুৎকারে উড়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকটা উপনির্বাচন। ফের বিপুল জয়। এবার পরীক্ষাটা ছিল পুরভোট। কলকাতার ছোট লালবাড়ি দখলে এসে গিয়েছিল। কোথাও যেন একটা শিলিগুড়ির কাঁটার মতো ছিল। ক্যারিশমার নাম অশোক ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে শিলিগুড়ির মানুষ সোমবার আর ভালোবাসলেন না।
শিলিগুড়ি তৃণমূলের। বিধাননগরও। সব্যসাচী দত্ত থেকে সুজিত বসু বারবার একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর এসেছিল। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস রাখলেন তৃণমূলে। ফের আবার প্রমাণ হল বাংলার মানুষ মমতাকেই ভালবাসেন। দলের ভরকেন্দ্র মমতাতেই।
আরও পড়ুন: WB Civic Polls Result: অশোক ভট্টাচার্য পরাজিত, শিলিগুড়িতে স্বপ্নভঙ্গ বামেদের
চন্দননগর। সিঙ্গুরকে সামনে রেখে বিজেপি-বামেরা কিছুটা পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা করেছিল। সাফল্য এল না। এখানেও সেই মমতাই ক্যারিশমা। আর শেষে আসানসোল। এখানেও তৃণমূলের ঝড়।
গত বিধানসভা ভোটের বিজেপির টিকিট নিয়ে লড়েছিলেন অনেকে। হেরেছিলেন। সময়ের পরিবর্তন এসেছে। পদ্মাসন ছেড়ে সবুজ আবির মেখেছেন। এমন তালিকা নেহাত কম নয়। আর তৃণমূলের টিকিটে জিতে জয়। মমতার ছবিকে সামনে নিয়ে লড়াই। জয়। যে ভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আজ জয়টা তেমনই। মানে এই জয় মমতার জয়। বাংলা মমতাকেই ভালবাসে।
It is once again an overwhelming victory of Ma, Mati, Manush.
My heartiest congratulations to the people of Asansol, Bidhannagar, Siliguri & Chandanagore for having put their faith and confidence on All India Trinamool Congress candidates in the Municipal Corporation elections.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 14, 2022