কলকাতা: পুজো উদ্বোধনে গিয়ে ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । মঙ্গলবার বালিগঞ্জে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের (ekdalia evergreen club) পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) মৃত্যুর জন্যও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি দায়ী। একডালিয়ার পুজো প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলেই পরিচিত। গত পঞ্চাশ বছর ধরে তিনিই ছিলেন এই পুজো কমিটির সভাপতি। গত বছর কালীপুজোর সময় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এবার পুজো কমিটির সভাপতি হয়েছেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়।
এদিন প্রয়াত নেতার স্মৃতিচারণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বাড়াবাড়ি মেনে নিতে পারছিলেন না সুব্রত দা। আমাকে বলেছিলেন, আর মানা যাচ্ছে না। মমতা, আমাকে দুটো গুলি এনে দে। একটা গুলিতে নিজেকে মারব। অন্য গুলিটি হল তাদের জন্য, যারা আমাদের অপমান করছে।
আরও পড়ুন: বুধবার পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টে ক্ষণিকের স্বস্তি মানিকের
মমতার অভিযোগ, কেবল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই নন, আরও অনেককে অপমান করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। এখনও অপমান করে চলেছে। তিনি বলেন, গতকালও এসেছিলাম বালিগঞ্জে। ভাবতেই পারছি না, দুর্গাপুজো হচ্ছে, অথচ সুব্রত দা নেই। খুব মিস করছি তাঁকে। সুব্রত দার হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
গত বছর তৃতীয় তৃণমূল মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার কিছুদিন পরেই নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক মন্ত্রী, নেতাকে ইডি গ্রেফতার করে সাতসকালে বাড়িতে হানা দিয়ে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসে অবস্থান আন্দোলন শুরু করেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির পর কেন তিনি নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন একডালিয়া এভারগ্রিন-সহ কলকাতার আরও একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার বহু পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনও সারেন তিনি। শনিবার পর্যন্ত উদ্বোধনের ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মহালয়ার দুদিন আগে থেকেই তিনি উদ্বোধনে নেমে পড়েছেন।