কোচবিহার: কোচবিহারে পঞ্চায়েতের ভোট প্রচার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। সোমবার কোচবিহারের চান্দামারির জনসভায় বিএসএফকে নিশানা করে মমতা বলেন, আমার কাছে খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ। ওরা ভয় দেখালে ভয় পাবেন না, আমাদের এসে জানাবেন। এদিন মমতা আরও বলেন, গুলি করে মারা যেন বিএসএফের অধিকারের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। পুলিশকে বলেছি, কেউ গুলি চালালে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে। দরকার হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে বলেও নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন কোচবিহার থেকে রাজ্য়ের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন মমতা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কোচবিহারের শীতলকুচিতে বিএসএফের গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মঞ্চে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহতর এই পরিবারগুলির পাশে থাকবে তৃণমূল। কোনও অসুবিধা হলে আমাদের জানাবেন। বিএসএফ ভয় দেখালে কোচবিহারের মানুষ এগিয়ে আসুন।
আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। কেননা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে ভালো ফল করেনি শাসকদল। কোচবিহার থেকে সাংসদ হয়েছেন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক। হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। বিধানসভা ভোটেও সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি। বেশিরভাগ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে। তাই সেখানকার সাধারণ মানুষের মনে ঘাসফুলে ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল। এদিনের জনসভায় মমতাকেও আক্রমনাত্মক মেজাজেই দেখা গেল। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে রাজ্যের বকেয়া সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের সরকারকে নিশানা করেন তিনি।
এদিকে কোচবিহার জেলায় রাজবংশী সম্প্রদায়েরও একটি বড় অংশের ভোটার রয়েছেন। রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ইস্যুতেও সরব হয়েছিলেন মমতা। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে রাজবংশী ভোট নিজেদের দিকে টানতে চাইছে তৃণমূল, মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকের মতে, আজকের তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বার্তা বাড়তি অক্সিজেন দেবে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের।