রামপুরহাট: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ এরকম পরিস্থিতি আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে যাচ্ছেন৷ তার আগে সব রকম প্রস্তুতি চলছে৷ কড়া নিরাপত্তায় ব্যবস্থায় ঘিরে ফেলা হচ্ছে এলাকা৷ সকাল থেকে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিসি টহল শুরু হয়েছে৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই গ্রামে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে৷ সব মিলিয়ে ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে৷ যে বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার চারপাশে বেশি করে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন এলাকা গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে৷ রামপুরহাটের কিষাণ মান্ডিতে হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে৷ হাওড়ার জোমজুড় থেকে হেলিকপ্টারে করে রামপুরহাট পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী৷
নিরাপত্তার জন্য একাধিক পুলিস আধিকারিক বগটুই গ্রামে৷৷
উপ-প্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুকে কেন্দ্র পরবর্তী হিংসাকাণ্ডের পরে স্থানীয় এসডিপিও ও আইসি ক্লোজ করা হয়৷ আজ বৃহস্পতিবার নতুন এসডিপিও হলেন ধীমান মিত্র৷ বুধবার রাতেই আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তিনিও অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে খবর৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হল৷বুধবার ২০ জন ধৃতকে আদালতে তোলা হয়৷ তাদের মধ্যে ১০ জন পুলিস হেফাজত ও বাকি দশজনকে জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷
বাঁধা হচ্ছেন প্যান্ডেল৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আজ কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা আছে৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে পাঁচ সদস্য ঘটনা স্থলে যাবেন৷ বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটিতে একাধিক প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন৷ তাঁরা গোটা ঘটনার রিপোর্ট জমা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে৷
ঘটনাস্থলের চারপাশে বসানো হচ্ছে ক্যামেরা৷
বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে এক সরকারি অনুষ্ঠানের সুচনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রামপুরহাটে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যারা এর পিছনে রয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও আক্রমণ করেন। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের তো বটেই, বিজেপি শাসিত দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলি নিয়েও আক্রমণ করেন।