টেটের আন্দোলনকারীদের ১৪৪ ধারা মেনে চলতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের আরও নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। কর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে অফিসে ঢুকতে পারেন, তারও দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশকে। এই নির্দেশ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বজায় থাকবে। এদিকে বৃহস্পতিবার এই আন্দোলনকে অনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, আমি নৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে আছি, অনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে নেই।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের বিরোধিতা করে পর্ষদ আদালতের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, আমরা আন্দোলন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আদালতের কাছে আমাদের আবেদন, কর্মীদের অফিসে ঢুকতে দেওয়া হোক। রাজ্য সরকারের আইনজীবী অমল সেন বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ীতে অফিসপাড়ায় আন্দোলন করছেন। ফলে অফিসযাত্রীদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। কাছেই হাসপাতাল। রোগী এবং তাঁদের স্বজনদেরও যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সারারাত ধরে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে থাকছেন। ক্রমশ তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে। যাঁরা অবস্থান করছেন, তাঁরা সকলেই প্রকৃত আন্দোলনকারী সদস্য কি না, তা আমাদের জানান নেই। আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারাও মানছেন না। একটি হাসপাতাল তাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on Kolkata TV: কলকাতা টিভি’র পাশে মুখ্যমন্ত্রী
পর্ষদ এ সব কথা বললেও আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা পর্ষদ কর্মীদের যাতায়াতে বাধা দিচ্ছেন না, হাসপাতালেও কারও যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আগেই অভিযোগ করেন, চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। আদালতের এই নির্দেশের পরও আন্দোলন চলবে কি না, সে ব্যাপারে চাকরিপ্রার্থীরা পরিষ্কার কিছু জানাননি এদিন। পর্ষদ সভাপতি বৃহস্পতিবারও আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেট নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যা বলার শিক্ষামন্ত্রী বলবেন। দুজনের দুরকম বক্তব্য ঠিক নয়। আমি নৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে আছি। অনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে নেই। আমি চাই, সবাই কাজ পাক। কেউ যেন চাকরি না হারায়। বিষয়টা আদালতের বিচারাধীন। টেট আন্দোলনকারীদের কাছে যাবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এখন পুজো উদ্বোধনে যাচ্ছি।