কলকাতা : মহালয়ায় চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সঙ্গেই দুর্গোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। আর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই মহানগরে পুজো পুজো গন্ধ যেন আরও সুতীব্র হয়ে উঠল ৷
আজ, বুধবার সূচনাটা হয়েছিল নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ৷ তার পর যোধপুর পার্ক ৷ সেখান থেকে চেতলা অগ্রণী ৷ কলকাতার তিন প্রথম সারির পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গেই যেন উৎসবের আবহে ঢুকে পড়ল বাঙালি ৷ পাঁজির হিসাবে এখনও দেবীপক্ষের সূচনা হয়নি । বোধনের ঢাকে কাঠি পড়তে এখনও দিন কয়েকের অপেক্ষা ।
আরও পড়ুন: মমতাকে পুজো উপহার বাবুলের, দিদির পছন্দ মাথায় রেখে দিলেন নীল রঙয়ের পিয়ানিকা
যোধপুর পার্কে পুজো উদ্বোধনে মমতা৷ বুধবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
এ দিন ‘চেতলা অগ্রণী’তে দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন তিনি । বিকেল ৪টে নাগাদ নজরুল মঞ্চে দলীয় পত্রিকা ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন দলের সর্বময় নেত্রী । প্রত্যেক বারের মতো এ বারও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দলের শীর্ষ নেতারাও । তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম-সহ এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন । তবে এ বার করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানে কড়াকড়ি করা হয় । জোর দেওয়া হয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ একাধিক বিষয়ে । নচিকেতা-ইন্দ্রনীল সেনদের সঙ্গে গলা মেলান বাবুল সুপ্রিয় ৷ সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন কুণাল ঘোষ ৷
আরও পড়ুন: পুজোর তিনদিন শেষ মেট্রো রাত এগারোটায়, জেনে নিন সময়সূচি
পুজো সংখ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সেরেই নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের দুর্গাপুজো মণ্ডপে যান মমতা । ওই পুজোটি ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো’ নামেই পরিচিত। সেখান থেকে ‘চেতলা অগ্রণী’র দুর্গাপুজো মণ্ডপে । যে পুজোটি ‘ফিরহাদ হাকিমের পুজো’ নামেই পরিচিত । সেখানে প্রত্যেক বারের মতো এ বারও প্রতিমার চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
চেতলার পুজোয় মমতার চক্ষুদান৷ বুধবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বাঙালির মহোৎসব । পাঁজির হিসেবে, সোমবার অর্থাৎ ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী। কিন্তু, তার প্রায় পাঁচ দিন আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে চক্ষুদান হয়ে গেলেও এ দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হচ্ছে না । মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এ বার চতুর্থী থেকে দেখা যাবে ঠাকুর ৷ তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানে কড়াকড়ি করা হয়েছে । জোর দেওয়া হয়েছে অন্যান্য বিধি পালনেও।