মালবাজার: পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্র জিতবে তৃণমূল, মঙ্গলবার মালবাজারের জনসভা থেকে হুঙ্কার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। সোমবার কোচবিহার থেকেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন মমতা। এদিন সভমঞ্চ থেকে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার আশ্বাসও দেন তিনি। মমতা বলেন, বাংলায় তৃণমূল ছাড়া আর কে আছে। ৩টি করে ভোটই তৃণমূলকে দিন। পঞ্চায়েক থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্র জিতবে তৃণমূল। আমার বিশ্বাস জলপাইগুড়ি-কোচবিহারের মানুষ আমাদের পাশে থাকবে।
পাশাপাশি বিরোধীদের একহাত নিয়ে মমতার হুঁশিয়ারি, বাংলায় বাম-কংগ্রেস-বিজেপির জোট মুখ থুবড়ে পড়বে। বাংলার মাটিতে খাবলানো যাবে না। বাংলার মাটিকে ভয় দেখিয়ে জোর করা যাবে না। এজেন্সি দিয়ে কাঁচকলা করবে বিজেপি। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চা-বাগান খোলার কিন্তু ওরা করেনি, তৃণমূল করেছে। সিংহভাগ বন্ধ সব চা-বাগান আমরা খুলে দিয়েছি। সিপিএম-বিজেপি কিছু করেনি। বাম জমানায় জলপাইগুড়ির কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেও দাবি করেন মমতা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Panchayat Election | ফেব্রুয়ারি-মার্চেই লোকসভার ভোট, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, কোচবিহার জেলায় রাজবংশী সম্প্রদায়েরও একটি বড় অংশের ভোটার রয়েছেন। রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ইস্যুতেও সরব হয়েছিলেন মমতা। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে রাজবংশী ভোট নিজেদের দিকে টানতে চাইছে তৃণমূল, মত বিশেষজ্ঞদের। এদিনও মমতা বলেন, রাজবংশী, সংখ্যলঘু, কামতাপুরীরা মনে রাখবেন, দিদি আছে আপনাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। সব ধর্মের উন্নয়ন করে তৃণমূল সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভিত বেশ নড়বড়ে। ২০১৯-এর লোকসভা থেকে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে সেভাবে দাগ ফেলতে পারেনি শাসকদল। উত্তরবঙ্গ থেকেই বেশিরভাগ বিধানসভা আসন জিতেছে বিজেপি। এমনকী লোকসভা ভোটেও সাংসদ হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। অনেকের মতে, আজকের তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বার্তা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।