কলকাতা: ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় নবজাগরণ আনতে এবার ‘ডিজিটাল হেলথ’ নামে একটি অত্যাধুনিক কোর্স চালু করছে মৌলানা আবুল কালাম ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউট। তাদের পরিচালিত কলেজগুলিতে কোর্সটি পড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র।
করোনা মানুষের জীবনে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলেছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা ব্যবস্থাও খোলনলচে বদলে দিয়েছে। আগে অসুস্থতায় সহজেই ডাক্তারের কাছে পৌঁছে যাওয়া যেত। করোনা অতিমারি ডাক্তারের চেম্বারে বা হাসপাতালে যাওয়ায় কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এদিকে চিকিৎসার জন্য দেশজুড়ে প্রয়োজনীয় হাসপাতাল ও ডাক্তারের সংখ্যাও বেশ কম। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে অন্যতম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা। উত্তরোত্তর তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের করের টাকা ‘জলে’! এয়ারপোর্ট বেসরকারিকরণের আগেই কেন্দ্রের খরচ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি
বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীকে প্রত্যন্ত গ্রাম বা দূরদূরান্ত থেকে শহরের বড় হাসপাতালে স্থানান্তরের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যা সমাধানেই ডিজিটাল হেলথ পরিষেবা প্রয়োজন হয়। কী সেই পরিষেবা? একজন রোগীকে স্থানান্তর না করেও ডিজিটাল হেলথ ব্যবস্থার মাধ্যম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। জেলায় ও ব্লকে ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করে রোগীদের সমস্ত তথ্য সেখানে মজুত রাখা হবে। শহরের বড় কোনও হাসপাতাল বা বাইরের কোনও হাসপাতালে ওই ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে রোগীর তথ্য পৌঁছে যাবে।
সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ডাক্তার বা মেডিক্যাল বোর্ড চিকিতসার ক্ষেত্রে কী করনীয় তার প্রয়োজনীয় নির্দেশ সংশ্লিষ্ট জেলা বা ব্লকের ডিজিটাল সেন্টারে পাঠিয়ে দেবেন। ডিজিটাল সেন্টার সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবে। এতে সময় ও রসদ দুইই বাঁচবে বলে জানিয়েছেন ম্যাকাউটের উপাচার্য সৈকত মৈত্র। সম্পূর্ণ কাজটি করতে গেলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ডিজিটাল হেলথ কোর্স চালু করছে ম্যাকাউট। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট পড়াশোনায় ওই কোর্স যুগান্তকারী, মত সৈকতবাবুর।
আরও পড়ুন: বড়দের সর্দি, কাশি থেকেই ছোটদের অজানা জ্বর, মত চিকিৎসকদের
করোনা অতিমারির জেড়ে দেশে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। উচ্চশিক্ষায় যোগ দেওয়া যুব সমাজের কাছে কর্মসংস্থান এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল হেলথের মতো আরও জীবিকা নির্বাহী কোর্সের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে অদূর ভবিষ্যতে ফার্মা-কোভিজিল্যান্স ও এনার্জি ইনফমেটিক্সের মতো কোর্সও চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।