নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রবিবার গঠিত হল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ওয়ার্কিং কমিটি। রাজস্থানের ভোট এবং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতা শচীন পাইলটকে তরুণ মুখ হিসেবে ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই দিলেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। দলের বকলমে সর্বময় কর্ত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর পরামর্শক্রমে শচীনকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করে তাঁর ক্ষোভে মলম লাগানোর চেষ্টা করা হল বলে অনেকের ধারণা। অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কেরলের নেতা শশী থারুরকেও আনা হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটিতে।
বলা বাহুল্য, গান্ধী পরিবারের তিনজন সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সভাপতি খাড়্গে রয়েছেন কমিটিতে। নতুন মুখদের মধ্যে রয়েছেন দীপা দাশমুন্সি এবং সৈয়দ নাসির হুসেন। উল্লেখ্য, এবারে ওয়ার্কিং কমিটি নির্বাচিত হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে গান্ধী পরিবারকে বাদ রেখে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকেই খাড়্গকে ওয়ার্কিং কমিটিতে নাম মনোনয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
সিডব্লুসি সদস্যদের নামের একটি তালিকা এদিন প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন তিন গান্ধী ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিকে অ্যান্টনি, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি, লোকসভা সদস্য গৌরব গগৈ এবং সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
ওয়ার্কিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে শশী থারুর এবং শচীন পাইলট দুজনেই খাড়্গে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জন ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যের মধ্যে ১২ জনকে নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু নির্বাচন ছাড়াই মনোনয়নের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হল। গত ২ বছর ধরে বর্তমানে বিলুপ্ত জি-২৩ নেতারা সিডব্লুসি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির নির্বাচনের দাবি করছিলেন।