কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাতারাতি মহা-বিদ্রোহ! বিধান পরিষদের ভোটের পরই যে এমনটা হতে চলেছে, তার কি কোনও আঁচ পাননি উদ্ধব ঠাকরে? নাকি, তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি এরকম একটা চক্রান্তের জাল বুনে রেখেছে, সেটা জেনেবুঝেই অবহেলা করেছেন তিনি। শিণ্ডের মতো অনুগত সেনা-কমান্ডার তথা শিবসেনার মুখ্য সচেতক যে তলেতলে এভাবে কবর খুঁড়ছিলেন, তা টের পাননি উদ্ধব?
যদিও মঙ্গলবারের ঘটনার পর দুপুরের মধ্যেই শিণ্ডেকে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে সেনা। সরকারের পতন ঠেকাতে উদ্ধব ঠাকরে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন। কিন্তু, তাঁর ৫৬ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১৮ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই অবস্থায় মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের ধাক্কা খাওয়া তরী বাঁচাতে একদিকে আসরে নেমেছেন জোটসঙ্গী শরদ পাওয়ার। অন্যদিকে, হাইকমান্ডের নির্দেশে সংকটমোচনে কমলনাথকে দায়িত্ব দিয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: President Election: রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে বেঙ্কাইয়া নাইডু
ইতিমধ্যেই শিণ্ডেকে বোঝাতে সুরাতে পৌঁছে গিয়েছে শিবসেনার কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই একনাথ শিণ্ডে ট্যুইট করে বিজেপির দিকে হেলে পড়ার আভাস দিয়ে দিয়েছেন। শিণ্ডে লিখেছেন, আমরা বালাসাহেবের (বালাসাহেব ঠাকরে, উদ্ধব ঠাকরের বাবা) বিশ্বস্ত শিবসৈনিক। বালাসাহেব আমাদের শিখিয়েছেন হিন্দুত্ব। আমরা কোনওদিন ক্ষমতার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিইনি। এটাই ছিল বালাসাহেবের দর্শন এবং ধর্মবীর আনন্দ দিঘে সাহেবের শিক্ষা।
একনাথ শিণ্ডে ও উদ্ধব ঠাকরে
এদিনই বর্ষীয়ান মারাঠা নেতা পাওয়ার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সাফ জানিয়ে দেন, কী এমন ঘটে গিয়েছে, যার জন্য সরকার পড়ে যাবে? বিজেপি ফের সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে বলে তোপ দাগলেন পাওয়ার। তিনি আরও জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকের পরই তিনি মুম্বই যাবেন। সেখানে উদ্ধবসহ জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।