বাকু: গতকাল ইসরোর (ISRO) কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল ১৪০ কোটি ভারতবাসী। বৃহস্পতিবার ১৮ বছর বয়সি দাবাড়ুর নিয়ে উচ্ছ্বাস হতে পারত, তবে হল না। ফিড দাবা বিশ্বকাপের (Fide Chess World Cup) ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেনের (Magnus Carlsen) কাছে হেরে গেলেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Rameshbabu Praggnanandhaa)। টাইব্রেকারের প্রথম গেমে জিতে যান কার্লসেন। পরের গেম ড্র হতেই ভারতের আশা শেষ হয়ে যায়। আশাহত হলেও প্রজ্ঞানন্দকে নিয়ে গর্ব করা উচিত।
এত কম বয়সে দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে আর কেউ যায়নি। বিশ্বনাথন আনন্দ শেষবার এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলেন, তাও ২১ বছর হয়ে গিয়েছে। আনন্দের পর ওই মাত্রার কোনও দাবাড়ুও ভারত থেকে বেরয়নি। মনে করা হচ্ছে, সেই পর্যায়ে তামিলনাড়ুর ছেলেটি কিন্তু যেতেই পারেন। এমনকী কার্লসেন নিজে বলেছেন, প্রজ্ঞানন্দ সহ ভারতীয় দাবা খেলোয়াড়রাই বিশ্ব শাসন করতে চলেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হয়নি, ভারতের কুস্তি ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করল আন্তর্জাতিক সংস্থা
? Magnus Carlsen is the winner of the 2023 FIDE World Cup! ?
Magnus prevails against Praggnanandhaa in a thrilling tiebreak and adds one more prestigious trophy to his collection! Congratulations! ?
? Stev Bonhage #FIDEWorldCup pic.twitter.com/sUjBdgAb7a
— International Chess Federation (@FIDE_chess) August 24, 2023
প্রজ্ঞানন্দের বাবা কে রমেশবাবু (K Rameshbabu) আশাবাদী ছিলেন, তাঁর ছেলে বিশ্বের এক নম্বরকে হারিয়ে দিতে পারে। ফাইনালে কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা সত্ত্বেও ঘাবড়াননি তিনি। জানিয়েছিলেন, আগেও কার্লসেনকে হারিয়েছে তাঁর ছেলে তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে প্রজ্ঞানন্দের বাবা বলেছেন, “আমরা প্রত্যেকে খুশি। ওর সঙ্গে অবশ্য কথা হয়নি। ও ইতিমধ্যেই কার্লসেনকে একাধিকবার হারিয়েছে, সেটা নিশ্চয়ই সাহায্য করবে। প্রজ্ঞানন্দ অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে, শুধু এই টুর্নামেন্টের জন্য নয়।”
একদিকে এক নম্বর কার্লসেন, অন্যদিকে এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রথম ত্রিশে ঢুকে পড়া প্রজ্ঞানন্দ। র্যাঙ্কিংয়ে পিছনে থাকলে কী হবে, দাবা বিশ্বকাপের সবথেকে বড় অঘটন ঘটান ভারতের দাবাড়ুই। আমেরিকান গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরাকে (Hikaru Nakamura) টাইব্রেকারে হারিয়ে দেন তিনি। সেমিফাইনালে হারিয়ে দেন বিশ্বের তিন নম্বরকে। ফাইনালে হারলেওৎতাই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর এই তরুণ দাবাড়ুকে নিয়ে গর্ব করা উচিত।