ভোপালে এক অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান হালকা চালে বলেন, চিকিৎসকরা চাইলে হিন্দিতে প্রেসক্রিপশন লিখতে পারেন। প্রেসক্রিপশনের মাথায় আরএক্স-এর (ল্যাটিন ভাষা থেকে উদ্ভূত একটি প্রতীক চিহ্ন) বদলে ‘শ্রী হরি’ লেখার প্রস্তাবও দেন তিনি। এরপরেই সতনা জেলার কোটার গ্রামের এক সরকারি চিকিৎসক ঠিক সেই কাজটাই করে বসলেন। প্রস্তাবিত ওষুধের নাম লিখলেন হিন্দি হরফে, মাথায় রইল ‘শ্রী হরি’। এই ঘটনা এক মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তা হল, এখন যদি তামিল চিকিৎসকরা তামিল ভাষায় এবং বাঙালি চিকিৎসকরা বাংলায় প্রেসক্রিপশন লেখেন তা হলে কী হবে?
After being told by a senior BJP leader and Chief Minister of MP, India, Indian doctors have started writing prescriptions in Hindi and writing ‘Shri Hari’ instead of Rx.
What will happen if Tamil doctors write in Tamil and Bengali doctors write in Bengali? pic.twitter.com/zGSacEmaOS— Kaustuv Ray (@kaustuvray) October 18, 2022
কোনও বাঙালি চিকিৎসকের কাছে নিশ্চয়ই শুধুমাত্র বাঙালি রোগীরাই চিকিৎসা করাতে আসেন না। একইভাবে তামিল চিকিৎসক নিশ্চয়ই শুধু তাঁর ভাষার রোগীরই চিকিৎসা করেন না। এই অতি জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে যদি নিজের নিজের ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করে তবে তো মহা বিপদ। প্রেসক্রিপশন ইংরেজিতে লেখাই দস্তুর। এক একটি ওষুধের নাম, তার মধ্যে কী কী উপাদান আছে তা ইংরেজি ভাষা ছাড়া বোঝা অসম্ভব। সে কারণেই এ যাবত দেশজুড়ে চিকিৎসা শাস্ত্র পড়ানো হয় ইংরেজি ভাষাতেই। আচমকা এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের পাঠ্যবই হিন্দিতে প্রকাশ করেছেন অমিত শাহ। গন্ডগোল সেখান থেকেই।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi Attacks PM Modi: ‘উনি ধর্ষণকারীদের পক্ষে’, মোদিকে তোপ রাহুলের
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলির পরিভাষা ইংরেজিতেই লেখা পড়া এবং জানা হয়। তার না হিন্দি, না বাংলা আর না তামিল অনুবাদ সম্ভব। শুধুমাত্র হিন্দি হরফে তা লেখার বা পড়ার ধারণাটাই উদ্ভট। অমিত শাহ অ্যানাটমি বা শারীরবিদ্যার একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। বইয়ের প্রচ্ছদে অ্যানাটমি শব্দটিই হিন্দি হরফে লেখা রয়েছে, যা অত্যন্ত হাস্যকর। হিন্দি ভাষা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার এই প্রচেষ্টার কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়।