কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ঠেলাগাড়িতে মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের ‘অপরাধে’ ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশের পুলিশ। প্রশাসনের তরফে এক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই খবরটি ‘মিথ্যা’। সরকারি তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির ছেলে বলেছেন, তাঁরা আদৌ কোনও অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেননি। এমনকী তিনি নাকি এও বলেছেন, তাঁর বাবা এবং পরিবার সরকারি সমস্ত সুযোগসুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমন— তাঁর বাবা রাজ্য সরকারের বার্ধক্য ভাতা পান। ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা পুলিশের এফআইআরে এসব কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত এক সাংবাদিক অনিল শর্মা বলেন, জেলা প্রশাসন ওই পরিবারকে চাপ দিয়ে কথা আদায় করে নিয়েছে। তারা পরিবারকে বলেছে, বেচাল হলেই সরকারি সুবিধা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই ভয়েই তারা এসব বলেছে। মিথ্যা অজুহাতে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। এদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী নেতা গোবিন্দ সিংও একই অভিযোগ করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ফাঁসানোর জন্য কংগ্রেস লড়াই চালাবে। শুধু কংগ্রেস নয়, শাসকদল বিজেপিও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সমালোচনা করেছে। দলের রাজ্য কার্যকরী সমিতির সদস্য রমেশ দুবে এই ঘটনার তীব্র করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Manish Sisodia: বিজেপিতে যোগ দিলেই মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শিসোদিয়া
রাজ্যের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলে ধরতে সচিত্র একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে লেখা হয়, অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে কীভাবে এক বৃদ্ধ মুমূর্ষু রোগীকে ঠেলাগাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর পরিবার। একেই মিথ্যা বলে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ পুলিশ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল অফিসার রাজীব কৌরব প্রথম পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সাংবাদিক কুঞ্জবিহারী কৌরব, অনিল শর্মা ও এন কে ভাটালের বিরুদ্ধে ডাবো থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৫ অগাস্ট সংবাদপত্র ও টিভিতে একটি খবরে দেখানো হয় ৭৬ বছর বয়সি গয়া প্রসাদকে ঠেলাগাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এঁরা সরকারি সুবিধা পান না। এরপরেই একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিই তদন্ত রিপোর্টে জানায়, খবরটির কোনও সারবত্তা নেই, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন. কারণ পরিবারের লোকজনই মেনে নিয়েছেন যে, তাঁরা সরকারি সুবিধাভোগী।