নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যখন বিরোধীরা একজোট হচ্ছে, সোনিয়া গান্ধি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসছেন, ঠিক সেই সময় এক বিজেপি নেতার নজিরবিহীন ব্যক্তিগত আক্রমণ।
২৮ জুলাই বুধবার, বিকেল ৫ টা ২৪ মিনিটে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা লোকেন্দ্র পরাসর একটি টুইট করেন৷ সেই টুইটকে ঘিরেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত৷ টুইটে সোনিয়া গান্ধি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই দুজনকে কুৎসিত ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়৷
আরও পড়ুন- এখনও ভয় দেখাচ্ছে ‘আর ফ্যাক্টর’, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধ
লোকেন্দ্র পরাসর মধ্যপ্রদেশ বিজেপি মিডিয়া সেলের ইনচার্জ৷ তাহলে কেন তাঁর টুইটে হইচই পড়ল৷ কারণ, ইদানিং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছেন৷ সে রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করছেন৷ রাজ্যের দলিত-আদিবাসীদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছেন৷ এ রকম পরিস্থিতিতে কমল নাথের এক ভিডিও বার্তা ভাইরাল করার চেষ্টাও করা হয় বিজেপির তরফে৷ পরে সাংবাদিক বৈঠক করে ভিডিও-র বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হন কমল নাথ৷ তারপরও মধ্যপ্রদেশ বিজেপি অস্বস্তিতে রয়েছে৷
আরও পড়ুন- রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বাড়ল, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা
শুধু তাই নয়, কমল নাথ সোনিয়া গান্ধি ঘনিষ্ঠ নেতা৷ স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসে কমল নাথের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে৷ সোনিয়ার নির্দেশে কমলনাথ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বৈঠক করেন মমতা। তাহলে এ কি কারণেই সোনিয়া-মমতাকে আক্রমণ? তা যদি না হয়ে থাকে, তাহলে কেন টুইট মুছে দিলেন বিজেপি নেতা লোকেন্দ্র পরাসর? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন৷ এ দিকে বুধবার বিকেলে সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠছক সেরে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি-কে হারাতে সবাইেক একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমি একা কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, আমিও ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে সকলকে।’’
আরও পড়ুন- প্রবল বন্যায় হিমাচলে মৃত ১৪, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ অমরনাথ
সে সময় ওই বিজেপি নেতা টুইটে লেখেন, ‘আজ দুই নেতা ২০২৪-এর জন্য বৈঠক করেন…..একজন শারীরিক ভাবে অসুস্থ, দ্বিতীয়জন মানসিক ভাবে অসুস্থ৷’
তাঁর এই টুইটের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ তার কিছুক্ষণ পর টুইট মুছে ফেলা হয়৷