বলেছিলাম আজ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, তার ফর্মুলা নিয়ে কথা বলব। কিন্তু এই ফুটবল জ্বরে কাঁপতে থাকা আবহে জাতীয় কংগ্রেসের কথা বলার আগে আমার ন্যাংটেশ্বর শিল্ডের কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক ধরেছেন, ধন্যি মেয়ের সেই ফুটবল ম্যাচ, একদিকে সর্বমঙ্গলা ক্লাব, কোচ, ম্যানেজার কালী দত্ত। অন্যদিকে হাড়ভাঙা গ্রামের গোবর্ধন চৌধুরির দল। হঠাৎ পেনাল্টি পেয়ে গেল সর্বমঙ্গলা ক্লাব। সাইড লাইনের বাইরে থেকে কালী দত্ত চিৎকার করছে, অ্যাই বগা, আউটে কিক কর, আউটে কিক কর, আমার টিম কখনও পেনাল্টিতে গোল দেয় না। কংগ্রেস হল সেই কালী দত্তের টিম, প্রাপ্য পেনাল্টিতে গোল বারপোস্টের মাথার ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। বিজেপিকে দেখুন, এই বাংলায় টাচ মি নট খোকাবাবুকে দলে নিয়ে নিল, এই ধেড়ে খোকাটি মাত্র ক’মাস আগে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ নিয়ে কীই না বলেছে, সাম্প্রদায়িক, দেশ ভাঙার দল, জনবিরোধী ইত্যাদি কত কথা, কিন্তু ভোটে জেতার জন্য ফাউলেও আপত্তি নেই। গুজরাতের অল্পেশ ঠাকোর, হার্দিক প্যাটেল ২০১৭তে মোদিজিকে নিয়ে যে সব চোখা চোখা বাণ ছেড়েছিলেন, সেসব এখনও ইউটিউবে আছে। ইদানীং শিবসেনা ভেঙে একনাথ শিন্ডে এখন বিজেপির সমর্থনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, ক’দিন আগে বিজেপি এবং রাজ্যপালকে নিয়ে কটু কথার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। এটাই বিজেপি, যেন তেন প্রকারেণ তাদের নির্বাচনে জিততে হবে। এদিকে কংগ্রেসের দিকে তাকান, তারা দলের তরুণতম নেতৃত্বকেও ধরে রাখতে পারছে না। ক’বছর আগে যাদেরকে টিম রাহুল বলে প্রজেক্ট করা হচ্ছিল, তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠই এখন টিম মোদি–শাহতে নাম লিখিয়েছে। অন্য দলের কথা ছেড়ে দিন, কংগ্রেসে গণতন্ত্র আছে, এখানে নির্বাচন হয় ইত্যাদি বলার পরে যিনি গান্ধী পরিবারের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে নামার সাহস দেখালেন, সেই বলিয়ে কইয়ে শিক্ষিত, সৎ ইমেজ আছে এমন নেতা শশী থারুর এখন একঘরে। নতুন ওয়ার্কিং কমিটিতে তিনি ভ্যানিশ। থারুরের ভাষায় তিনি এখন FLOCCINAUCINIHILIPILIFIATAION ফ্লকসিনসিনিহিলিপিলিফিকেশন, তিনি এখন তুচ্ছ, মূল্যহীন কেউ না র দলে চলে গেছেন। তাহলে এই গণতান্ত্রিক নাটকবাজির দরকার কী ছিল? কংগ্রেস আপাতত এক জলসাঘরের বিশ্বভর রায়, যাঁর হাতে লেগে আছে ঘিয়ের গন্ধ, সেই গন্ধেই দিন কেটে যায়। জানেন আমাদের গুজরাতে ৬ বার সরকারে আসিনি তো কী, ভোট শতাংশ ৪১-৪২। নাও, এবার তা নেমে ২১-এ চলে গেল। সারা দেশেও তাই, ক্ষমতায় নেই কিন্তু গত লোকসভার নির্বাচনেও কংগ্রেস প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। যা দেশের আর পাঁচ সাতটা বিরোধী দলের ভোটের যোগফলের চেয়েও বেশি। সেই কংগ্রেস নিজেকে বদলানো শুরু করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর জামানা থেকে, দলে তৈরি হয়েছিল হাই কমান্ড কালচার। দলের যা কিছু ঠিক হবে দিল্লি থেকে, আরও পরিষ্কার করে ইন্দিরা যা বলবেন, দল সেটাই মানবে। দল গান্ধী পরিবারের ওপর নির্ভরশীল তো ছিলই, ওই তখন থেকে কেবল নির্ভরতা নয়, গান্ধী পরিবারই হয়ে দাঁড়াল কংগ্রেসের একমাত্র ভরসা। রণে বনে জলে জঙ্গলে যেথায় যত কংগ্রেসি আছেন, তাঁরা বিপদে, না বিপদে, সময়ে অসময়ে কেবল গান্ধী পরিবারের দিকেই তাকানো শুরু করলেন। মধ্যে নরসিমহা রাওয়ের সময় মনে হয়েছিল বোধহয় গান্ধী পরিবারের ছায়া কেটে গেল কংগ্রেসের ওপর থেকে। আবার ইউপিএ ওয়ানের সময় মনমোহন প্রধানমন্ত্রী হলেন, রিমোট কন্ট্রোল থাকল সোনিয়ার হাতে, আবার কংগ্রেস চলে গেল পুরনো ওই বটগাছের ছায়ায়। সোনিয়ার পরে রাহুল, রাহুলের সঙ্গেই প্রিয়াঙ্কা, একই ধারাবাহিকতা বজায় আছে আজ অবধি। আর এইখানেই বিজেপির প্রথম অস্ত্র, পারিবারিক শাসন, বিজেপি নেতাদের ছেলেমেয়েরা এমএলএ, এমপি, মন্ত্রীসান্ত্রী হচ্ছেন, কোই বাত নহি, কিন্তু গান্ধী নাম আসলেই মোদিজি ভুরু নাচিয়ে বলবেন পারিবারিক শাসন আউর শোষণকা রাজ…। এটা কংগ্রেস বুঝেছে। আর কী বুঝেছে? বুঝেছে যে কংগ্রেসের এক জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রের কথা, সেন্টার উ লেফট অবস্থান, মোটের ওপর রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বিকাশ এবং দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির মধ্যেই দেশের ভবিষ্যৎ, ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ, উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই হল কংগ্রেসের ভিত্তি। ওই বেচে দাও, বেচে দাও পথে দেশের গরিষ্ঠাংশ মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়, কংগ্রেস কিছুটা হলেও বুঝেছে মুষ্টিমেয় কিছু বড়লোক তৈরি হলেই দেশের উন্নয়ন হয় না। এসব বুঝল কীভাবে? সীতারাম ইয়েচুরি বোঝাল? হতেই পারে, কমরেড ইয়েচুরি এই কথাগুলো বলেছেন, কিন্তু মাথায় রাখুন সীতারাম ইয়েচুরি তো এই কথাগুলো এই সবে বলা শুরুই করলেন না, আসলে কংগ্রেসের মধ্যে, বিশেষ করে তার যুব নেতৃত্বের মধ্যে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে, তাঁরা আবার কংগ্রেসের আদত অবস্থানে ফেরার চেষ্টা করছেন। কংগ্রেস এটাও বুঝেছে যে মহাজোট ইত্যাদি না হলেও মোটের ওপর এক বিরোধী ঐক্য থাকাটা জরুরি। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কংগ্রেস তার ফর্মুলা তৈরি করেছে, এই ফর্মুলাতেই তারা আগামী গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচন, কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন এবং অবশ্যই ২০২৪-এর নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে। কংগ্রেসের ফর্মুলা নম্বর এক হল কংগ্রেসের আদর্শগত অবস্থানকে ফেরত পাওয়া। কেবল রোটি কপড়া, মকান, বিজলি, পানি, সড়কের উপর নির্বাচন হবে না। দেশজুড়ে বিজেপি যে সাম্পদায়িক কার্ড নিয়ে মাঠে নেমেছে, তাদের আদর্শগত অবস্থানের বিরোধিতায় কংগ্রেসের রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থান স্পষ্ট না হলে আরএসএস–বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। সেই ফর্মুলা নম্বর ওয়ানের ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি ভারত জোড়ো যাত্রায়। দক্ষিণ থেকে উত্তর, কেরল থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত এই যাত্রার চেহারা, যাত্রাপথে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষের সামিল হওয়া ইত্যাদি দেখলে বোঝা যাবে, শিকড়ে ফেরার এক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে এবং সেই প্রচেষ্টা কেবল ভোটে জেতাকে মাথায় রেখেই নয়, বরং চাহিদার থেকেও বেশি আইডিয়ালিস্টিক অবস্থান নিয়েই রাহুল গান্ধী মাঠে নেমেছেন। ক্রমাগত বলে যাচ্ছেন ক্রোনি ক্যাপিটালের বিরুদ্ধে লড়াই, দেশের সম্পদ বেচে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই, দেশের সংখ্যালঘু আর আদিবাসীদের অধিকারের লড়াইয়ের কথা। রোহিত ভেমুলার মা থেকে স্বরা ভাস্কর থেকে মেধা পাটকর থেকে রঘুরাম রাজনের সামিল হওয়া এক বড় সামাজিক জোটের কথাই বলছে। ফর্মুলা নম্বর ওয়ান আগামিকালই দেশের রাজনীতির চেহারা বদলে দেবে এমন নয়, কিন্তু এই যাত্রার এক সুদুরপ্রসারী প্রভাব তো পড়বেই। ফর্মুলা নম্বর দুই, রিসোর্স কম, টাকাপয়সা কম, অ্যাট লিস্ট বিজেপির তুলনায় তো নগণ্য, কাজেই যেখানে টাকা খরচ করে লাভ আছে সেইখানেই খরচ করো। কংগ্রেসের এখন জয় চাই, গত চার বছর তারা হেরেছে, তাদের জয় পেতেই হবে, ডুবন্ত জাহাজে ইঁদুরও থাকে না, মানুষ তো কোন ছার। তাই এবারের দুই বিধানসভা আর দিল্লি এমসিডি নির্বাচনে তাদের পাখির চোখ ছিল হিমাচল। অন্তত এই একটা জয় কংগ্রেসকে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাল, এরপর তাদের লক্ষ্য কর্নাটক, সেখানে জয়ের গন্ধ পেয়েছে তারা, তারা কর্নাটকে জয় পেলে আগামী বছর খেলা জমে যাবে। এই ফর্মুলা নম্বর দুই অনুযায়ী যে যে রাজ্যে তাদের জয়ের সম্ভাবনা আছে, তারা অন্তত লড়াই করতে পারবে, সেখানে লড়বে বাকি জায়গায় নাম কে ওয়াস্তে দলের অস্তিত্ব বজায় রাখা হবে। গুজরাতে সেই কারণেই কংগ্রেস দ্বিতীয় শান ধরে রাখার লড়াই চালিয়েছে, কংগ্রেস জানে আপ মুছে গেলে কংগ্রেস আবার তার নিজের ৪২-৪৩ শতাংশ ভোট আবার ফিরে পাবে। এই ফর্মুলা মেনেই কংগ্রেসের অর্জুনের চোখ এখন কর্নাটকে। তিন নম্বর ফর্মুলা হল রাহুল বনাম মোদি এই বাইনারি থেকে লড়াইটাকে বের করা, সামনে রাহুল না থাকলে মোদিজির বক্তৃতার ধারই কমে যাবে। কাজেই রাহুল গান্ধী ব্যস্ত থাকবেন দল আর তাঁর নিজের ইমেজ বদলানোর কাজে, নির্বাচন লড়বেন স্থানীয় নেতা, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাজীব শুক্লা, বাঘেল, গেহলট, পাইলট ইত্যাদিরা। মোদি-রাহুল বাইনারি ভাঙতে পারলে বিজেপির ওই পারিবারিক শাসন ইত্যাদির প্রচারেরও ধার কমবে। ফর্মুলা নম্বর চার হল মোটের ওপর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক বোঝাপড়ায় আসা। তাদের মধ্যেও তারা বেশি ভরসা করছে লালু, নীতীশ, সিপিএম, ডিএমকে, শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ারের ওপর। এদের প্রায় প্রত্যেকেই কংগ্রেসের সুপ্রিমেসি মেনে নিয়েছে। এই তো আজকেই মল্লিকার্জুন খাড়গে বৈঠকে ডেকেছিলেন বিরোধী দলগুলোকে, আপ, টিআরএস, এসপি, আরএলডি সমেত তৃণমূল বাদ দিয়ে প্রায় প্রত্যেকেই হাজির ছিল। এই ঐক্য তারা বজায় রাখতে চায়। ফর্মুলা নম্বর ৫ হল জঙ্গি জাতীয়তাবাদ এবং হিন্দুত্বকে তারা আগের মতো সরাসরি বিরোধিতার পথ থেকে সরে আসতে চায়। কংগ্রেসও এখন চীনের আগ্রাসন নিয়ে অনেক বেশি সরব, তারা এখন রাম মন্দির, এমনকী কাশী মথুরা ইস্যু নিয়েও কথা বলা বন্ধ করেছে, রাহুল গান্ধী নিয়মিত মন্দিরে গিয়ে দুধ ঢালছেন, মালা চড়াচ্ছেন। আপাতত এই ৫ ফর্মুলা নিয়েই কংগ্রেস তার রাজনৈতিক রাস্তা তৈরি করছে। কিন্তু সেখানেও অনেক সমস্যা। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা করছেন, তাতে দলের ইমেজ, নিজের ইমেজ কিছুটা শুধরোচ্ছে, কিন্তু এই যাত্রা থেকে নির্বাচনী সাফল্য না এলে সংসদীয় রাজনীতিতে কোন ভূমিকা তাঁরা পালন করবেন? ক্রমশ, প্রতিদিন হারতে থাকা এক দলের ওপর মানুষ কীভাবে ভরসা রাখবে? নির্বাচনে জেতার জন্য যে তীব্র খিদে বিজেপির আছে, তা কংগ্রেসের মধ্যেও না এলে এই যাত্রা দিয়ে কিছুই হবে না। ফর্মুলা নম্বর দুই, রিসোর্স কম, তাই রিসোর্স সেখানেই খরচ করো, যেখানে জয় আসবে। ২০১৭তে গুজরাতে ৭৭টা আসন পেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু পাঁচ বছরে তার দলের নেতাদেরই ভাঙিয়ে নিয়ে চলে গেল বিজেপি, হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকোর চলে গেলেন বিজেপিতে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করল না কংগ্রেস, এটা কীরকম স্ট্রাটেজি? বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বত্র তাদের দাঁড়াতে হবে, অন্তত লড়তে হবে। বাংলায় হেরে গেলে, কেরলে হেরে গেলে, তেলঙ্গানায় হেরে গেলে ক্ষতি নেই, বিজেপি শাসিত রাজ্য, যেখানে বিজেপি কংগ্রেস মুখোমুখি লড়াই সেখানে ভোট শতাংশ অর্ধেক হয়ে গেলে তা আবার ফিরবে কবে? তিন নম্বর ফর্মুলা মেনে মোদি-রাহুল বাইনারি থেকে বের হতে গেলে দলে গণতন্ত্র দরকার। মল্লিকার্জুন খাড়গে যদি ১০ বার ভারত জোড়ো যাত্রাপথে এসে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মিটিং সারেন তাহলে দল যে বকলমেই চলছে তা সবাই বুঝবে, কেবল মাত্র নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য যদি থারুরের মতো একজন নেতা ওয়ার্কিং কমিটি থেকে বাদ যায়, তাহলে দলে গণতন্ত্র নেই তা প্রমাণ হবে, সেক্ষেত্রে ওই মোদি-রাহুল বাইনারিতেই কংগ্রেস আটকে থাকবে। আর এই মোদি–রাহুল কাজিয়াতে জিতবে বিজেপি, মোদিজি একথা বলাই বাহুল্য। ফর্মুলা নম্বর চার, বিরোধী দলের সঙ্গে বোঝাপড়া, এইখানে কংগ্রেস অনেকটা সফল, আপাতত তাদের সমস্যা আপ, তৃণমূল, টিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস আর বিজেডিকে নিয়ে। এ সমস্যাও তাদের মেটাতেই হবে। পাঁচ নম্বর ফর্মুলা অনুযায়ী খানিক বেশি জাতীয়তাবাদী বা খানিক সফট হিন্দুত্বের ফর্মুলা বেশ গোলমেলে, সরু দড়ির ওপর হাঁটার মতো শক্ত, যে কোনও সময়েই পদস্খলন হতেই পারে। কিন্তু এ ছাড়া আর করারই বা কী আছে, কারণ এই এজেন্ডা তো সেট করে দিয়েছেন মোদিজি নিজে, আরএসএস–বিজেপি এক্কেবারে হেরে ভূত হওয়ার আগে পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক মেনস্ট্রিম দলকে মন্দিরে ঢুকতেই হবে, মাথায় টিকে পরতেই হবে আর হঠাৎ হঠাৎ দেশ খতরে মে হ্যায় বলে চেঁচাতেই হবে। তবে এই ৫ ফর্মুলা নিয়ে কংগ্রেস যাই করুক না কেন, কর্নাটকে তাদের জিততেই হবে, রাজস্থান, ছত্তিশগড় তাদের ধরে রাখতেই হবে, তাহলেই একমাত্র ২০২৪-এ আমরা লড়াই দেখতে পারব। না হলে ২০২৪ আবার বিজেপির কেক ওয়াক হয়ে যাবে।