পৃথিবীর সবথেকে বড় চুম্বক কী জানেন তো? পৃথিবী নিজেই। তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জেরেই মানুষ থেকে গাছপালা, সমুদ্রের জল থেকে বাড়িঘর মাটিতে আটকে রয়েছে, মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়নি। প্রত্যেক চুম্বকের মতোই পৃথিবীরও চৌম্বক ক্ষেত্র (Magnetic Field) রয়েছে। মহাজাগতিক তেজস্ক্রিয়তা (Cosmic Radiation) থেকে আমাদের রক্ষা করে চৌম্বক ক্ষেত্র। একে দেখা যায় না, কিন্তু শোনা যায়। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সেই শব্দ শোনাল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)।
কেমন এই শব্দ?
না, একেবারেই সুরেলা, মিষ্টি আওয়াজ নয়। বরং কর্কশ, ঘড়ঘড়ে। ভূতুড়ে বলে মনে হতেই পারে। ইএসএ-র এই প্রজেক্টে সহায়তা করেছেন ক্লস নিয়েলসেন নামে এক মিউজিশিয়ান। তিনি বলছেন, সোয়ার্ম উপগ্রহ এবং অন্যান্য সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সিগনালগুলির শাব্দিক রূপ দেওয়া হয়েছে। কলা এবং বিজ্ঞানের এ এক সুন্দর সমন্বয়।
আরও পড়ুন: Baby Namer: শিশুদের নামকরণ করেই আয় লক্ষ লক্ষ টাকা, আপনিও হতে পারেন ‘বেবি নেমার’
নিয়েলসেন জানান, এক অদ্ভুত সাউন্ড সিস্টেমের অ্যাকসেস পেয়েছিলেন তাঁরা। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের সোলবার্গ স্কোয়্যারে মাটির নীচে পোঁতা রয়েছে ৩০টি লাউডস্পিকার। তিনি বলেন, আমরা লাউডস্পিকারগুলো এমনভাবে বসিয়েছিলাম যাতে প্রতিটা স্পিকার পৃথিবীর বিভিন্ন লোকেশনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এক লক্ষ বছর ধরে চৌম্বক ক্ষেত্র কীভাবে ওঠানামা করেছে তাও বুঝিয়ে দেয়।
ইএসএ জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর এই আবিষ্কারের পর সোলবার্গ স্কোয়্যারে প্রতিদিন তিন বার করে ব্রডকাস্ট করা হয়েছে চৌম্বক ক্ষেত্রের শব্দ। এও বলা হয়েছে, ওই শব্দ শুনিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোটা আদৌ উদ্দেশ্য নয়। বরং এটা মনে করিয়ে দেওয়া যে, চৌম্বক ক্ষেত্রের অস্তিত্ব আছে পৃথিবীর অস্তিত্ব এর উপর নির্ভর করে।