বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমায় প্রায় পাঁচ হাজার দুর্গাপুজো হয়। দুর্গা পুজোয় ব্রাহ্মণ সমাজ মঙ্গল কামনায় পুজা মন্ডপে মন্ত্র উচ্চারণ করেন। অনেক সময় দেখা যায় সেই সংস্কৃত মন্ত্র ভুল হয়। তাতে মঙ্গলের জায়গায় অমঙ্গল হয়। তাই এবার হিন্দু সমাজের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে বিশেষ কর্মশালা শুরু হল। বসিরহাট পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের মন্দির হাটখোলার এক মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে।
সেখানে হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে পুজো অর্চনা পৌরহিত্যের পাঠ দিলেন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিতরা। শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের সব জাতিকে নিয়ে এই কর্মশালা। একদিকে সংস্কৃত মন্ত্র পাঠ যাতে ভুল না হয় তার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে পুজার পাঠ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সবাই যাতে নির্ভুলভাবে পুজো-অর্চনা করতে পারে তার সবরকম ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। একদিকে খাতায় কলমে অন্যদিকে নির্ভুল সংস্কৃত মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে আজকে এই কর্মশালার আয়োজন। প্রান্তিক ক্লাবের ৭৮ তম খুঁটি পুজোয় এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন বসিরহাটের সমাজসেবী সুরজিৎ মিত্র। আগামী দিন প্রতিটা মন্দিরে যাতে সংস্কৃত পণ্ডিতরা তথা ট্রেনিং প্রাপ্ত পুরোহিতরা নির্ভুলভাবে পুজো করতে পারেন তাই এই উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের ধরনা কর্মসূচিকে ভয় পাচ্ছে শাহি পুলিশ, ফের অনুমতি চাইল তৃণমূল
সুরজিৎ মিত্র বলেন, সমাজের অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির আগমন করতে পারার জন্য এই উদ্যোগ। আগামী দিনে আমরা সারা বছর ইছামতির নদীর তীরে আরতির মধ্য দিয়ে পুরোহিত সমাজকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা করছি। পুরোহিত অভীক ভট্টাচার্য, সুরজিত চক্রবর্তী বলেন, আমরা মঙ্গল কামনার জন্য সমাজে পুজো অর্চনা করি। সেখানে যদি মন্ত্র ভুল হয়ে যায় তাতে মঙ্গলের বদলে অমঙ্গল দেখা দেবে। তার জন্যই আমাদের আজকের এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে সঠিক সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণ শিখে সমাজের মঙ্গল কামনা করা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমাদের পরিবারের নতুন প্রজন্মরা এই পেশায় থাকতে চাইছে না। তাঁরা যাতে এই পেশায় থাকতে পারে তার জন্য একটা সুষ্ঠ সমাজ ও পরিকাঠামো দরকার। তার জন্য আমাদের এই কর্মসূচি লাগাতার চলবে।